করোনার সংক্রমণ হ্রাস পাওয়া ও টিকাকরণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দীর্ঘ ১৮ মাস পর পূর্ণডোজ টিকা নেয়া পর্যটকদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ভারত।
সোমবার থেকে নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এসব পর্যটকেরা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়,ভারতে আসা পর্যটকদের অবশ্যই সম্পূর্ণডোজ টিকা দিতে হবে, কোভিড-১৯ প্রোটোকল অনুসরণ করতে হবে এবং তাদের ফ্লাইটের ৭২ ঘন্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার প্রমাণপত্র থাকতে হবে। অনেককে বিমানবন্দরে আসার পরও করোনা পরীক্ষা করা হবে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয়ান যেসব দেশের সাথে ভারতের ‘টিকা প্রশংসাপত্রের পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি’ রয়েছে সেসব দেশের করোনা পরীক্ষা না করেই বিমানবন্দর ছাড়তে পারবেন।
২০২০ সালের মার্চ মাসের পর প্রথমবার ভারত বিদেশি পর্যটকদের বহনকারী বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। এর আগে গত মাস থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে করে পূর্ণডোজ টিকাপ্রাপ্ত পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আমরা কোনো সীমান্তেই প্রাণহানি চাই না: ভারতীয় হাইকমিশনার
পর্যটকদের ভারত ভ্রমণে উৎসাহিত করার জন্য, দেশটির সরকার আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত পাঁচ লাখ ভিসা বিনামূল্যে দেয়ার পরিকল্পনা করছে। এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে করোনায় ধসে পড়া দেশটির পর্যটনখাতকে আবার চাঙ্গা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারত করোনায় দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ।
ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় ৭৯ শতাংশ টিকার এক ডোজ পেয়েছে, আর ৩৮ শতাংশ টিকার সম্পূর্ণডোজ পেয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার টিকাকরণের গতি বাড়াতে রাজ্য প্রশাসনকে ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণকে বোঝানোর আদেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি