আফগান দূতাবাস জানিয়েছে, ভারতে কূটনৈতিক সমর্থনের অভাব এবং কাবুলে একটি স্বীকৃত সরকারের অনুপস্থিতির কারণে রবিবার থেকে নয়া দিল্লিতে এটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, তবে আফগান নাগরিকদের জরুরি কনস্যুলার সেবা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের জন্য উপলব্ধ কর্মী এবং সংস্থান উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, এতে কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।’
২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলকারী তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। দুই বছর আগে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগে কাবুল থেকে তাদের নিজস্ব কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে এখন আর কূটনৈতিক উপস্থিতি নেই।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৬ জন আহত
নয়া দিল্লিতে আফগান দূতাবাসটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির পূর্ববর্তী সরকারের নিযুক্ত কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি, তবে গত সপ্তাহে এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, আফগান রাষ্ট্রদূত বেশ কয়েক মাস আগে ভারত ত্যাগ করেছেন এবং অন্যান্য আফগান কূটনীতিকরা আশ্রয় পাওয়ার পরে তৃতীয় কোনো দেশে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।
ভারত বলেছে, তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা জাতিসংঘের নেতৃত্ব অনুসরণ করবে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভয়াবহ পঙ্গপালের বিষয়ে সতর্কতা জারি জাতিসংঘের
আফগান দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ভারত সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চেয়েছিল যাতে ভারতে বসবাসকারী, কাজ করা, পড়াশোনা করা ও ব্যবসা করা আফগানদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভারতে নিবন্ধিত প্রায় ৪০ হাজার শরণার্থীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশই আফগান। তবে এই পরিসংখ্যানে যারা জাতিসংঘে নিবন্ধিত নন তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
গত বছর ভারত আফগানিস্তানে গম, ওষুধ, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং শীতবস্ত্রসহ ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছিল।
গত বছরের জুনে কাবুলে তাদের দূতাবাসে কর্মকর্তাদের একটি দল পাঠিয়েছিল ভারত।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা বন্ধে বিশ্ব নীরব: প্রধানমন্ত্রী