মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাকের দুর্নীতির মামলায় ১২ বছরের সাজা মওকুফের চূড়ান্ত আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির উচ্চ আদালত। ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ রাষ্ট্রীয় তহবিলের অর্থ লুটপাটের দায়ে তাকে আদালত ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। সাজা বহালের পাশাপাশি শুনানিতে আদালত বলেছেন, নাজিব দায় এড়াতে পারেন না।
নাজিব আপিল আবেদনে নতুনভাবে বলেন, প্রধান বিচারপতি মাইমুন তন ম্যাট-এর স্বামী জামানি ইব্রাহিম, যিনি পাঁচ সদস্যের ফেডারেল আদালতের নেতৃত্বে আছেন তিনি ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদের কেলেঙ্কারিকে জটিল করে তুলেছেন।
আদালতে আইনজীবীর পড়া হলফনামায় নাজিব বলেন, ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে নাজিব ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পরই একটি ফেসবুক পোস্টে জামানি ইব্রাহিম চূড়ান্তভাবে বলেছিলেন ‘নাজিব সার্বভৌম সরকারের তহবিল চুরি করেছিলেন।’ নাজিব বলেছেন এটি ‘চরমভাবে বিরক্তিকর’ যে তাকে অপরাধী সাব্যস্ত করতে জামানি মাইমুনের মনোভাবকে প্রভাবিত করেছিলেন।
নাজিব তার আবেদনে আরও বলেন, ‘আদালতের এই রায়কে পক্ষপাতমূলক হিসেবে দেখা হতে পারে এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষের সন্দেহপূর্ণ ধারণা তৈরি করবে।’
আবেদন করে তার চূড়ান্ত আপিল শুনানি বিলম্ব করার জন্য নাজিবকে অভিযুক্ত করেন প্রসিকিউটর।
৬৯ বছর বয়সী নাজিব রাজ্জাকই প্রথম মালয়েশিয়ান সাবেক প্রধানমন্ত্রী, যিনি দন্ডপ্রাপ্ত হলেন।
কেন্দ্রীয় আদালতে তার সর্বশেষ বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা ছিল গত সপ্তাহে, যেখানে নাজিব শুনানি বিলম্ব করতে চেয়েছিলেন। ২০২০ সালে হাইকোর্টের যে বিচারক তাকে দণ্ড দিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ তুলে ধরে পুনঃশুনানি করতে চেয়েছিলেন। তার সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
আদালত নাজিবের মামলা নতুন করে প্রস্তত করার জন্য আরেক আইনজীবী নিয়োগের জন্য শুনানি স্থগিত করার আবেদন গ্রহণ করেননি।
আরও পড়ুন: বিদেশি কর্মী নিয়োগে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা চায় না মালয়েশিয়া সরকার