নেপালে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত আরও ৬৯ জন।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেশটির কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঋষিরাম তিওয়ারি সাংবাদিকদের বলেন, সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, এর মধ্যে ৩৪ জনই রাজধানী কাঠমান্ডুতে মারা গেছেন।
হিমালয়ের দেশটিতে ৬০ জন আহত হয়েছেন এবং ৩ হাজার ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীসহ দেশের সব বিভাগের নিরাপত্তা বাহিনীকে উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃষ্টিপাতে ভূমিধসের কারণে বেশ কয়েকটি রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
তিওয়ারি বলেন, ভূমিধসের কারণে কাঠমান্ডুকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযোগকারী মূল পৃথ্বী মহাসড়কসহ তিনটি মহাসড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সড়কগুলো চালুর চেষ্টা করার জন্য ভারী সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নেপালে ভূমিধসে নিহত ৬
সরকার সারা দেশে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছিল।
এছাড়া মহাসড়কে রাতে বাস চলাচল নিষিদ্ধ করা হয় এবং গাড়ি চলাচলকে নিরুৎসাহিত করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীকে উচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখাক সাংবাদিকদের বলেন, কর্মকর্তারা এখনও বন্যার প্রভাব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছেন।
রমেশ লেখক বলেছেন, ‘সরকারের এখন অগ্রাধিকার হচ্ছে লোকজনকে উদ্ধার করা এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সহায়তা করা।’
নদীর উপচে পড়া পানিতে কাঠমান্ডুর কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। এতে অনেক বাড়িঘরের বাসিন্দারা উপরের তলায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। শহরের দক্ষিণ দিকের বিস্তীর্ণ এলাকা বেশিরভাগই প্লাবিত হয়েছে। বাড়ি থেকে বের হতে না পারা চারজনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়।
কাঠমান্ডুর বেশিরভাগ অংশ কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ছিল।
বর্ষা মৌসুমেযা ভারী বৃষ্টিপাত হয়। মূলত এটি জুনে শুরু হয়ে সাধারণত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৫৯, আহত ৩৬