গুরুতর অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন পাকিস্তানকে বেল-আউট প্যাকেজের অধীনে ৬ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দিতে দেশটির সাথে প্রাথমিক একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
মূলত ২০১৯ সালে পাকিস্তান এবং আইএমএফ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু এই বছরের শুরু থেকে এক বিলিয়নের কিছু বেশি ঋণ আটকে পড়ে। তখন আইএমএফ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অধীনে বেলআউটের শর্তগুলোর সাথে পাকিস্তানের সম্মতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। গত এপ্রিলে সংসদ তাকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে।
নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ অধীনে সরকার শ্রীলঙ্কার মতো ঋণখেলাপি এড়াতে মে মাস থেকে আইএমএফের সাথে আলোচনা করছে।
শরীফ টুইটারে লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে চুক্তি দেশকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে বের করে আনার মঞ্চ তৈরি করেছে।’
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পাকিস্তান সরকার আইএমএফের শর্ত পূরণের জন্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করেছে এবং ভর্তুকি কমিয়ে দিয়েছে।
এ পদক্ষেপ সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ বাড়ছে, তবে প্রধানমন্ত্রী শরীফ বলেছেন, এ পদক্ষেপগুলো প্রয়োজনীয় ছিল।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আইএমএফ জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের সাথে একটি স্টাফ-লেভেল চুক্তিতে (এসএলএ) পৌঁছেছে। চুক্তিটি আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে।’
এতে বলা হয়, পাকিস্তান প্রায় এক দশমিক ১৭ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে বেলআউটের পরিমাণ ৬ বিলিয়ন থেকে ৭ বিলিয়ন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবে, যা সাধারণত একটি আনুষ্ঠানিকতা হিসাবে বিবেচিত হয়।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল দেশটিতে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি তৈরির জন্য ইমরান খানকে দায়ী করেছেন
তিনি বলেছেন, জনপ্রিয়তার জন্য ইমরান খান ইচ্ছাকৃতভাবে আইএমএফের শর্ত লঙ্ঘন করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আইএমএফের বেলআউটের প্যাকেজের আওতায় সরকারকে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে। কেননা তহবিল থেকে ঋণের কিস্তি মুক্তি অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাকিস্তানের সাথে জড়িত হতে উৎসাহিত করবে।
পড়ুন: বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে কঠোর বাংলাদেশ ব্যাংক, বিলাসবহুল পণ্যে আমদানি ঋণ নিষিদ্ধ
ঢাকা ও ময়মনসিংহে গ্রিড আধুনিকীকরণে ৫০০ মিলিয়নের বেশি ডলার ঋণ দিলো বিশ্বব্যাংক