তুমুল লড়াই চলা পূর্ব ইউক্রেন সম্পূর্ণ দখলের লক্ষ্যে অগ্রগতি নিশ্চিত করেছে রাশিয়া। সিভিয়ারোডোনেটস্ক এবং কাছাকাছি লাইসিচানস্ক শহরগুলো দখল করার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। যেটি লুহানস্কে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন সর্বশেষ প্রধান এলাকা।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশকে নিষেধাজ্ঞার দেয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিরক্ষাকে সমর্থন করে অস্ত্র সরবরাহ করা ইউরোপীয় দেশগুলোকে সর্তক করেছেন।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এই সপ্তাহে তারা ইউক্রেণের ছোট শহর লাইমান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে ৩৭ মৃত্যু
তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিয়েছেন। শুক্রবার, ডোনেটস্কের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো বলেছেন, রাশিয়ান সৈন্যরা শহরটির বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং এই অঞ্চলের আরেকটি শহর বাখমুতের দিকে তাদের আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করছে।
তবে দেশটির উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হানা মালিয়ার মস্কোর দাবির বিরোধিতা করে বলেছেন, লাইমানে লড়াই এখনও চলছে।
শনিবারের এক ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশটির পূর্বের পরিস্থিতিকে ‘খুব জটিল’ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘রুশ সেনাবাহিনী কিছু ফলাফল চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় পদদলিত হয়ে শিশুসহ নিহত ৩১
তবে ডোনেস্ক ও লুহানস্কে রাশিয়ার সাম্প্রতিক অগ্রগতি পুতিনকে আরও উৎসাহিত করতে পারে। তারা ইউক্রেণের ছোট ছোট শহরগুলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
এদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন ফ্রান্স ও জার্মানির নেতাদের সঙ্গে শনিবার ৮০ মিনিটের একটি ফোন কল করেছেন যেখানে তিনি ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রের ক্রমাগত সরবারহের বিষয়ে সতর্ক করেছেন এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ সংকটের জন্য দায়ী করেছেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং রাশিয়ান সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে তারা পুতিনকে জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবি, নিখোঁজ ২৫