মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং’র মধ্যকার বহুল প্রত্যাশিত ভার্চুয়াল বৈঠক সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি বছরের শুরুতে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই মার্কিন-চীন সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারির পর এই দুই নেতার মধ্যে এটি তৃতীয় বৈঠক।
ক্ষমতা গ্রহণের পর দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান জটিলতা ও দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানে উভয় পক্ষকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান বাইডেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, বৈঠক থেকে দু’দেশের সম্পর্কের কোনও বড় পরিবর্তন হবে, এমন আশা আমি করছি না। দুই নেতা নিজেদের দেশ, বিভিন্ন প্রতিযোগীতার ক্ষেত্র ও বাণিজ্যিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাধারণ আলোচনা করবেন।
চলতি সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনায় তাদের সহযোগিতা বাড়াতে এবং জলবায়ু-ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন হ্রাসকরণ পদক্ষেপে গতি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এবং জ্যেষ্ঠ চীনা পররাষ্ট্র নীতি উপদেষ্টা ইয়াং জিচি বছরের শেষ নাগাদ বইডেন-শি’র এই ভার্চুয়াল সম্মেলনের বিষয়ে একটি চুক্তি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বাইডেন রাজত্বের ১৫০ দিনে ৩০ কোটি টিকার মাইলফলক
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন শুক্রবার বলেছেন, আমরা আশা করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে একত্রে কাজ করবে। দুই নেতার বৈঠক সফল করতে চীন-মার্কিন যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালাবে।
সম্প্রতি বাইডেন উত্তর-পশ্চিম চীনে জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনের সমালোচনা করেছেন। হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী প্রচেষ্টাকে দমন করা এবং করোনাভাইরাস মহামারিটির উৎস সম্পর্কে তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি আরও বলেছেন, সোমবারের বৈঠকে বাইডেন এইসব বিষয়ে তার দেশের উদ্বেগ প্রকাশ করবেন।
আরও পড়ুন: ফলাফলহীন বাইডেন-পুতিনের ‘কার্যকরী’ বৈঠক