আন্তর্জাতিক সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, তারা একটি সহায়তাকারী গ্রুপের কাছ থেকে জেনেছেন যে ওই নৌকার এক আরোহী চিৎকার করে কান্না করে বলেছিলেন যে, যাত্রীরা ইতিমধ্যে মারা গেছে।
লিবিয়া কোস্টগার্ডের মুখপাত্র আয়ুব গাসিম জানান, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে অন্তত ৬৫জন অধিবাসী ছিলেন, যাদের বেশিরভাগ সুদানের।
যারা নিখোঁজ বা সাগরে ডুবে গেছে তাদের সংখ্যা কম করে (১৫-২০ জন) বলে গাসিম জানান, নিখোঁজ ব্যক্তিদের তল্লাশি স্থগিত করা হয়েছে।
গাসিম এসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, একজন নারী ও শিশুসহ পাঁচজন মারা গেছে এটা নিশ্চিত। তারা মরক্কোর অধিবাসী এবং তাদের লাশ পশ্চিমাঞ্চলের খমস শহর উপকূলে এবং ত্রিপোলি থেকে ১২০ কিলোমিটার পূর্বে পাওয়া যায়। নিহত অন্য তিনজন- মরক্কো, সুদান ও সোমালিয়ার অধিবাসী।
এক মাস আগে দুটি নৌকায় করে প্রায় ৩০০ অভিবাসী লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হয়।
তারও আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে লিবিয়া থেকে একই পথে ইউরোপ যাওয়ার পথে ১৭ জন মারা যায় বা নিখোঁজ হয়। আর মে মাসে তিউনিশিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে অন্তত ৬৫ জন নিখোঁজ হয়।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র চার্লি ইয়াক্সলি বলেন, ‘আজকের দুর্ঘটনার খবর সত্য হলে চলতি বছরে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ডুবে মৃতের সংখ্যা ৯০০ জনের কাছাকাছি দাঁড়াবে।’
এদিকে শরণার্থী সংষ্থাটির মুখপাত্র দুর্ঘটনা থেকে উদ্ধার হওয়া প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলেন, মৃত বা নিখোঁজের সংখ্যা অন্তত ৪০ জন হবে।
জাতিসংঘ অভিবাস সংস্থা জানান, গত ২২ আগস্ট পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে ৮৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।