বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মাঙ্কিপক্স বিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, তিনি এমন আশা করেন না যে এখন পর্যন্ত পাওয়া শত শত রোগী থেকে এটি আরেকটি মহামারিতে পরিণত হতে পারে।
তবে, একই সঙ্গে তিনি এও স্বীকার করেছেন যে, রোগটি সম্পর্কে এখনও অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে। এর মধ্যে রোগটি আসলে ঠিক কীভাবে ছড়ায় এবং কয়েক দশক ধরে গুটিবসন্তের গণটিকা কার্যক্রম বন্ধ রাখায় কোনভাবে মাঙ্কিপক্সের বিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা সে বিষয়গুলো রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স: পোষা প্রাণী থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান
সোমবার এক উন্মুক্ত সভায় ডব্লিউএইচও-র ড. রোসামুন্ড লুইস বলেন, ১২টিরও বেশি দেশে যেসব রোগী পাওয়া গেছে তাদের বেশিরভাগই সমকামী, উভকামী বা এমন পুরুষ যারা অন্য পুরুষদের সঙ্গে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হয়েছেন।
তাই এই বিষয়ে জোর দেয়া খুবই প্রয়োজন এই কারণে যাতে করে বিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা করতে পারেন এবং যাতে ঝুঁকিতে থাকা মানুষজন সতর্কতা অবলম্বন করতে পারে।
লুইস মাঙ্কিপক্স বিষয়ে ডব্লিউএইচও’র টেকনিক্যাল লিডার। তিনি বলেন, ‘এটি ব্যাখ্যা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যে সংক্রমণের মাধ্যম বৃদ্ধি পেয়েছে, যেই বিষয়টা এর আগে পুরোপুরি লক্ষ্য করা হয়নি।’
তবে তিনি এও সতর্ক করেছেন যে কারো যৌন চাহিদা যাই হোক না কেন, যে কেউই সম্ভাব্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, এটা একটা কাকতালীয় বিষয়ও হতে পারে যে রোগটি শুরুতে সমকামী ও উভকামী পুরুষদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। তারা বলেন, দ্রুত রোধ করা না হলে রোগটি দ্রুতই অন্যান্য গোষ্ঠীর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত আগে মাঙ্কিপক্সের রোগী ছিল না এমন ২৩টি দেশে ২৫০ জন রোগীর খবর জানা গেছে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনায় প্রথম মাঙ্কিপক্স শনাক্ত
লুইস বলেন, এটা এখনও অজানা যে মাঙ্কিপক্স যৌনক্রিয়ার মাধ্যমে ছড়াচ্ছে নাকি যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু সংস্পর্শের মাধ্যমেই ছড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষদের জন্য এর ঝুঁকিকে ‘কম’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।