মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাবকে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সারা বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় সংস্থাটি এই সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, ৭০ টিরও বেশি দেশে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে এই ভাইরাসকে এখন বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা হিসাবে ঘোষণা করা যায়।
শনিবার ডব্লিউএইচও এর এই ঘোষণায় বিরল এই রোগের চিকিৎসায় ভ্যাকসিনের জন্য বিনিয়োগকে আরও উৎসাহিত করতে পারে।
টেড্রোস ডব্লিউএইচও’র জরুরি কমিটিতে কর্মরত বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ঐকমত্যের অভাব সত্ত্বেও বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এই প্রথম এ ধরনের পদক্ষেপ নিলেন।
টেড্রোস বলেন, ‘ সংক্রমণের নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স দ্রুত বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে আমরা খুব কমই বুঝি। তাই আমি মাঙ্কিপস্ক নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘আমি জানি এটি একটি সহজ বা সরল প্রক্রিয়া ছিল না এবং কমিটির সদস্যদের মধ্যে ভিন্ন মতামত রয়েছে’, তিনি আরও বলেন।
একটি বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা হল ডব্লিউএইচও’র সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা, কিন্তু উপাধির অর্থ এই নয় যে একটি রোগ বিশেষভাবে সংক্রমণযোগ্য বা প্রাণঘাতী।
ডব্লিউএইচও’র জরুরি বিষয়ক প্রধান ড. মাইকেল রায়ান বলেছেন, মহাপরিচালক মাঙ্কিপক্সকে সেই বিভাগে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে বিশ্ব সম্প্রদায় বর্তমান প্রাদুর্ভাবকে গুরুত্ব সহকারে নেয়।
যদিও মাঙ্কিপক্স কয়েক দশক ধরেই মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার কিছু অংশে আছে, তবে এটি এই মহাদেশের বাইরে বড় ধরনের প্রাদুর্ভাব সৃষ্টি করতে বা মে পর্যন্ত মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার কথা জানা যায়নি। এই সময়ে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং অন্যান্য জায়গায় কয়েক ডজন মহামারি সনাক্ত করা হয়েছে।
জুন মাসে ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞ কমিটি বলেছে, বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব এখনও আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা নয়, তবে পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়নের জন্য এই সপ্তাহে প্যানেল আহ্বান করেছে।