ডব্লিউএইচও’র প্রধান বিজ্ঞানী ডা. সৌম্য স্বামীনাথনের মতে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের চেয়ে অনেক ধীর গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন:নতুন ধরনের করোনা নিয়ে গবেষণায় বিজ্ঞানীরা
সোমবার ডব্লিউএইচ’র এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যদিও আমরা বেশ কয়েকটি পরিবর্তন, রূপান্তর দেখেছি, তারপরও সেগুলোর কোনোটি এখন পর্যন্ত ভাইরাস রোধে বর্তমানে ব্যবহৃত চিকিৎসা, ওষুধ ও প্রস্তুত হতে থাকা টিকাগুলোর ওপর উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।’
এ ভাইরাসে কী ঘটছে তা ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ এবং সংক্রমণটি যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা জরুরি বলে উল্লেখ করেন ডব্লিউএইচও’র প্রধান বিজ্ঞানী।
করোনায় বিশ্বে মৃত্যু ১৭ লাখ ছাড়াল
তিনি বলেন, ‘যেহেতু প্রচলিত আরও ভাইরাস রয়েছে, তাই পরিবর্তনের আরও সম্ভাবনা এবং বিকল্প উত্থান হতে পারে। এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো ভাইরাসের সংক্রমণ কমিয়ে রাখা। এটি বিপুল সংখ্যক জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে দেবেন না। এভাবে আমরা এর রূপান্তর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি।’
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন সম্পর্কে গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে তথ্য দেয় যুক্তরাজ্য সরকার।
করোনাভাইরাসের নতুন ‘ধরন’ কতটা উদ্বেগের কারণ?
গত শনিবার দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনার আগের ধরনের তুলনায় নতুন ধরনের সংক্রমণ ক্ষমতা ৭০ শতাংশ বেশি। এ কারণে সংক্রমণ পরিস্থিতি চিন্তিত করে তুলেছে যুক্তরাজ্য সরকারকে।
এদিকে, ডব্লিউএইচও’র জরুরিবিষয়ক কার্যক্রমের প্রধান মাইকেল রায়ান বলেন, ‘আমরা যা করছি, সেটাই আমাদের করে যেতে হবে। হয়ত আমাদের আরেকটু পরিশ্রমের সঙ্গে, আরেকটু বেশি সময় ধরে করতে হবে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত ১ কোটি ৮০ লাখ ছাড়াল
‘এটিকে আমরা নিয়ন্ত্রণে দেখতে পেয়েছি। তাই সে অর্থে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়, তবে এটিকে তার নিজের গতিপথে চলতে দেয়া যাবে না,’ বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ভাইরাস প্রতিনিয়ত নিজেই পরিবর্তন হওয়ার মধ্য দিয়ে নতুন রূপ ধারণ করতে থাকে যাকে বলা হয় ‘মিউটেশন’।
কোভিড-১৯ টিকা কোনো ‘জাদুর কাঠি’ নয়: ডব্লিউএইচও
এ মিউটেশনের মধ্য দিয়ে ভাইরাস যেমন শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে, তেমনি অনেক সময় এর শক্তি হ্রাসও পায়। নতুন রূপ নিয়ে মানুষের মাঝে দ্রুত বা সহজে সংক্রমিত হতে পারে এ ভাইরাস যা ওষুধ বা টিকার মতো প্রতিরোধক ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
ভাইরাসগুলো স্বাভাবিকভাবেই বিকশিত হয় কারণ সেটি মানুষের মধ্য দিয়ে যায়।