যুক্তরাজ্যে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আনুগত্য জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার
নিকটবর্তী সময়ে গঠিত হতে যাওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আগাম আনুগত্য প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।
তিনি বলেন, কূটনৈতিক বিষয়ে একটি প্রোটোকল অনুসরণ করতে হয় বলে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
গত ১৬ জুলাই থেকে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সাইদা মুনা নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এসময় তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে নতুন প্রজন্মের আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে ন্যায়ভিত্তিক দেশ গঠনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জনপ্রিয় সাপ্তাহিক সুরমার সম্পাদক ও বিশিষ্ট আইনজীবী শামসুল আলম লিটন লন্ডনে হাইকমিশনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব কথা বলেন সাইদা মুনা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের চ্যানেল এসের বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেলেন সাঈদা মুনা তাসনীম
গত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন লিটন।
লিটনের এই কাজের ভিডিও শেয়ার করে ইকবাল ফেরদৌস বলেন, অসম্ভব মেধাবী, মানবিক ও নিবেদিতপ্রাণ মানুষ লিটনের সঙ্গে প্রায় ৭-৮ বছর ধরে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে তার।
৩ মাস আগে
যুক্তরাজ্যে রপ্তানি বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ হাইকমিশন
যুক্তরাজ্যের ক্রমবর্ধমান বাজার ধরতে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) এফবিসিসিআইয়ের হেড অব পিআর অ্যান্ড কমিউনিকেশনস তানজিদ বসুনিয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চায়না প্লাস ওয়ানের সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যের ভোক্তা মার্কেট ধরতে রপ্তানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণের উপর জোর দিয়েছে উভয় পক্ষ।
রবিবার রাতে যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন ও দেশটিতে সফররত এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক ডায়ালগে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। এসময় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
রপ্তানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণের উপর জোর দিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আমরা শুধু তৈরি পোশাক খাতে নির্ভরশীল হয়ে আছি। কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের বিকল্প নেই। পোশাক শিল্পের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে আরও কী ধরনের পণ্য রপ্তানি করা যায় সেগুলো নিয়ে কাজ করছি আমরা।’
এসময় তৈরি পোশাকের বাইরে কৃষিজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, ফুল ও ফল রপ্তানিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আসার বিষয়েও বাংলাদেশি হাইকমিশনের সহযোগিতা চান এফবিসিসিআই সভাপতি।
পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাইদা তাসনিম মুনা বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বেসরকারি খাতের উদ্যোগে গত বছর যুক্তরাজ্যে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির দিক থেকে সর্বোচ্চ। এই রপ্তানির ৯১ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে।
এ ছাড়াও টেক্সটাইল, মৎস্য, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হলেও সেই সংখ্যা খুব কম। চায়না প্লাস ওয়ান নীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যে পণ্য রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশ হাইকমিশন কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় কৃষিজাত পণ্য ও আনারসসহ বিভিন্ন ফল রপ্তানির উপর জোর দেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার।
বাংলাদেশের তৈরি পণ্য মূলধারার বাজারে আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মূলধারার বাজারে কী ধরনের পণ্য আসছে এবং সেসব পণ্যের উৎস কোথায়, কী ধরনের চাহিদা রয়েছে সেগুলো বিশ্লেষণ করতে পারি, তাহলে সেটি দেশের রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করবে।’
বৈঠকে প্রশিক্ষিত নার্সসহ দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি নিয়েও আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যবাসায়ী নেতারা ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাটের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে এফবিসিসিআই: মাহবুবুল আলম
১১ মাস আগে
সাম্প্রতিক সহিংসতার বিরূদ্ধে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চায় স্টাডি সার্কেল বাংলাদেশ
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি থিঙ্কট্যাঙ্ক স্টাডি সার্কেলের একটি প্রতিনিধি দল গত সোমবার (২০ নভেম্বর) ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কাছে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করেছে।
স্টাডি সার্কেলের সমন্বয়ক জামাল আহমেদ খানের নেতৃত্বে মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমেদ উল্লাহ ও সাংবাদিক রুমানা আফরোজ রাখীসহ প্রতিনিধি দল স্টাডি সার্কেলের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোজাম্মেল আলীর সই করা স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ সম্পর্কিত রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
স্মারকলিপিটি গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশে সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও একজন পুলিশ অফিসারের হত্যার ঘটনা বর্ণনা করে নির্বাচন ঘিরে স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী অপশক্তি সহিংসতার একটি প্রবণতার সর্বশেষতম।
এই উদ্বেগজনক ঘটনার আলোকে স্টাডি সার্কেল স্মারকলিপি এই চরমপন্থী সহিংসতা মোকাবিলা এবং ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বহুপাক্ষিক ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।
ব্রিটেন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে স্টাডি সার্কেল প্রতিনিধিদল আশা করে, প্রধানমন্ত্রী সুনাক উগ্রবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি সরকার এবং সুশীল সমাজের মধ্যে যৌথ প্রচেষ্টার অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেবেন।
আরও পড়ুন: নিবারণযোগ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করবে চক্ষু চিকিৎসক সমিতি ও অরবিস ইন্টারন্যাশনাল
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ন্যাশনাল ডিফেন্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাক্ষাৎ
১১ মাস আগে
যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সরকারি সফরে লন্ডন পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি লন্ডনের স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর ৪টা ৪৯ মিনিট) হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
যুক্তরাষ্ট্রে ছয় দিনের সফর শেষে পাঁচ দিনের সফরে লন্ডনে যান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
লন্ডনে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ৬ মে বাকিংহাম প্যালেসে আয়োজিত যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
৬ মে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে এটি অনুষ্ঠিত হবে এবং রাজা, যিনি রানি কনসোর্টের সঙ্গে মুকুট পরবেন। তিনি ১০৬৬ সাল থেকে সেখানে মুকুট পরা ৪০তম রাজা হবেন।
৫ মে বাকিংহাম প্যালেসে রাজা ও রানি কনসোর্টের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সম্পৃক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর উন্মুক্ততার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
১ বছর আগে
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ব্যাপক সহযোগিতা আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমি: সারা কুক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন যে তিনি দীর্ঘ ও বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘দৃঢ় করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ‘ব্যাপক সহযোগিতা’ আরও গভীর করতে আগ্রহী।
রবিবার ঢাকায় এসে তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসেবে বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি আনন্দিত এবং গভীরভাবে সম্মানিত। তিনি রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনের স্থলাভিষিক্ত হন।
বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে কুক বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের দৃঢ় সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও নিরাপত্তাসহ অনেক পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে।
কুক এর আগে ২০১২-২০১৬ পর্যন্ত ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি)-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অতি সম্প্রতি, তিনি ফরেন, কমনওয়েলথ এবং ডেভেলপমেন্ট অফিসে (২০২০-২০২৩) দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রধান এবং তানজানিয়ায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার (২০১৬-২০২০) ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবেন: ডিকসন
কুক ২০০৫ সালে ডিএফআইডি -এ যোগদান করেন যেখানে তার ভূমিকায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ, দুর্নীতি বিরোধী এবং সহায়তার কার্যকারিতা সম্পর্কিত যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন নীতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তিনি আফ্রিকা সচিবালয়ের কমিশনের উপ-প্রধান এবং মন্ত্রিপরিষদ অফিসে প্রধানমন্ত্রীর কৌশল ইউনিটের উপ-পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন।
ইউকে সিভিল সার্ভিসে যোগদানের আগে কুক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গায়ানায় কাজ করেছিলেন; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসাবে সলোমন দ্বীপপুঞ্জে; এবং প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারস-এর একজন অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: স্কলার ও তাদের দেশের জন্য স্কলারশিপ রূপান্তরমূলক অভিজ্ঞতা হতে পারে: রবার্ট ডিকসন
১ বছর আগে
আমরা বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীকে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রেভেলিয়ানকে বলেছেন, ‘আপনাদের এটা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। আমরাও একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই।’
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মোমনে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের পক্ষ বিষয়টি উত্থাপন করেনি, তিনি (মোমেন) নিজেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের জন্য ৪০ জন বিশ্বনেতার আবেদনের সমালোচনা মোমেনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার একটি ‘শক্তিশালী ও স্বাধীন’ নির্বাচন কমিশনসহ একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান গঠন করেছে।
মোমেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, জনগণ তাদের (আ.লীগ) করা ‘ব্যাপক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা’র জন্য আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।
অন্যদিকে, অ্যান-মারি এক টুইটে বলেছেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা সংকট, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করেছি।’
নিরাপদে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নিজ দেশে ফিরে না যেতে পারা পর্যন্ত তাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশের উদারতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এর আগে, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি বাংলাদেশের বিনিয়োগ যাত্রার কথা শুনে আনন্দিত এবং ঢাকায় বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩-এ বক্তৃতা করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য পারস্পরিক বাজারে প্রবেশের মাধ্যমে তাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছে মোমেন
১ বছর আগে
দেশে তৈরি ‘সবচেয়ে বড়’ কন্টেইনার জাহাজ যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছে
বাংলাদেশে নির্মিত ৬ হাজার একশ’ টন লোড ক্ষমতার উচ্চ-গতির বহুমুখী কনটেইনার জাহাজ যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছে।
জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, এটি দেশে নির্মিত রপ্তানি করা বৃহত্তম কন্টেইনার জাহাজ।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এনজিয়ান শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের চাহিদা অনুযায়ী জাহাজটি নির্মাণ করেছে আনন্দ শিপইয়ার্ড নামের একটি বাংলাদেশি জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাহাজটি হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস, এক্সপোর্ট, বন্ড ও আইটি) হোসেইন আহমদ, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা এবং আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহেল বারী।
আরও পড়ুন:নৌপথ আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
ড. আব্দুল্লাহেল বারী জানান, জাহাজটির ধারণক্ষমতা ৬ হাজার ১০০ ডেড ওয়েট টন (ডিডব্লিউটি)। জাহাজটি মাল্টিপারপাস হওয়ার কারণে ভারী স্টিলের কয়েল, খাদ্যশস্য, কাঠ এবং কন্টেইনারের পাশাপাশি বিপজ্জনক দ্রব্যাদিও বহন করতে পারবে। বাল্টিক সমুদ্রে চার ফুট বরফ আচ্ছাদিত অবস্থায় চলতে পারবে।
জাহাজটি রপ্তানি করে বাংলাদেশ ১০০ কোটি টাকার বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে।
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এটা আমাদের গর্ব। জাহাজ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের আরেকটি দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অত্যাধুনিক জাহাজ নির্মাণের দক্ষতা রয়েছে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে এই শিল্প তৈরি পোশাক শিল্পের কাছাকাছি রপ্তানি আয় অর্জন করবে।’
১৯৮৩ সাল থেকে আনন্দ শিপইয়ার্ড ও স্লিপওয়েজ লিমিটেড ৩৫০ টি জাহাজ সরবরাহ করেছে।
জাহাজ রপ্তানি, জাহাজ ব্যবস্থাপনা, ক্যাপ্টেন ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ শিপিং লাইন দ্বারা সমুদ্র পরিবহন, উপকূলীয় এবং অভ্যন্তরীণ কার্গো ও যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে জাহাজ নির্মাণ শিল্প বাংলাদেশে বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকা অবদান রাখে।
আরও পড়ুন:চাহিদা অনুযায়ী ফেরি চলবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
ডিপোতে বিস্ফোরক ছিল না, আগুন নাশকতা কি না তদন্তে বেরিয়ে আসবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন
যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টি পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাসকে তাদের দলের নতুন নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে এবং এর মধ্যদিয়ে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন লিজ ট্রাস।
সোমবার লন্ডনে দীর্ঘ দুই মাস ধরে চলা ভোটের ফল ঘোষণার মাধ্যমে ট্রাসের নির্বাচিত হওয়ার কথা জানানো হয়। এই নির্বাচনে শুধুমাত্র কনজারভেটিভ পার্টিতে চাঁদা প্রদানকারী এক লাখ ৮০ হাজার সদস্য ভোট দেয়।
প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি ও কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাস তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে পরাজিত করেছেন।
জানা যায়, ট্রাস পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯৯ ভোট, অন্যদিকে সুনাক পেয়েছেন ৮১ হাজার ৩২৬ ভোট।
আরও পড়ুন:মোমেন ভারতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাচ্ছেন না: গণমাধ্যমে ‘বাদ’ শব্দটি ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন দীপু মনির
মঙ্গলবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ট্রাসের নাম ঘোষণা করবেন। অনুষ্ঠানটি বাকিংহাম প্যালেসের পরিবর্তে রানীর স্কটল্যান্ডের বালমোরাল এস্টেটে অনুষ্ঠিত হবে, কেননা রানী বর্তমানে সেখানে ছুটি কাটাচ্ছেন।
গত ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করার পর থেকেই, তার আর কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার নেই।
আরও পড়ুন:নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৪ দিনের সফরে ভারতের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
২ বছর আগে
এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনারের শোক
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
তিনি এক শোক বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত,। আমাদের জাতি একটি অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ।তিনি আমাদের দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান। ’
সাইদা মুনা বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুহিত স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য বৈশ্বিক সমর্থন জোগাড় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের জানাজা সম্পন্ন, মা-বাবার কবরের পাশে দাফন
হাইকমিশনার বলেন, দেশের একজন বিচক্ষণ অর্থমন্ত্রী ও সফল অর্থনীতিবিদ মুহিত বাংলাদেশের সংসদে রেকর্ড সংখ্যক জাতীয় বাজেট পেশ করেছিলেন। গত এক দশকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, মুহিতের অসংখ্য প্রকাশনা আজকের সরকারী কর্মচারী এবং একাডেমিয়াকে গাইড করে চলেছে।
হাইকমিশনার বলেন, বাঙালি শিল্প ও সংস্কৃতির নেতৃস্থানীয় পৃষ্ঠপোষক মুহিতের আলোকিত চেতনা আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রয়াত এ এম এ মুহিতের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের এবং তার প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমিন।’
আরও পড়ুন: মুহিতের মৃত্যু দেশের অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রাখা প্রাজ্ঞপ্রাণের প্রস্থান: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
যুক্তরাজ্যে শ্যাডো ইকোনমিক সেক্রেটারি হলেন টিউলিপ সিদ্দিক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নতুন ছায়া মন্ত্রিসভার শ্যাডো ইকোনমিক সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। প্রায় ছয় বছর ধরে শ্যাডো আর্লি ইয়ার মিনিস্টারের দায়িত্ব পালনের পর তিনি এই দায়িত্ব পেলেন।
এক টুইট বার্তায় টিউলিপ যুক্তরাজ্যের শ্যাডো ইকোনমিক সেক্রেটারির দায়িত্ব পেয়ে আনন্দিত বলে জানিয়েছেন। শ্যাডো চ্যান্সেলর রাচেল রিভস এমপির টিমে নতুন চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য তিনি মুখিয়ে আছেন বলেও জানান তিনি।
টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, শিশুদের জীবনের সম্ভাবনা তৈরিতে প্রাথমিক শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যারা এটি সঠিকভাবে স্বীকৃতি ও সমর্থন করে তাদের জন্য আমি কখনই লড়াই বন্ধ করব না। তারা সত্যিকার অর্থেই নেপথ্যের নায়ক।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপের হ্যাটট্রিক
ছায়া মন্ত্রী হিসেবে আমি দুর্বল শিশুদের জন্য আরও ভাল সহায়তা দিতে লড়াই করেছি, সেসব শিশুদের দেখাশোনা করেছি এবং বিনামূল্যে স্কুলের খাবার সরবারহ করেছি।
তিনি বলেন, ধন্যবাদ সকল প্রচারক ও সংগঠনকে যারা আমাকে এই কাজে সহযোগিতা করেছেন।
টিউলিপ বলেন, আমি জানি আমার উত্তরসূরিরা শিশুদের জন্য এবং যারা তাদের সমর্থনে কাজ করছে তাদের জন্য কাজ করবেন আমি তাকে ও নতুন ছায়া শিক্ষা সচিবকে শুভেচ্ছা জানাই।
আরও পড়ুন: লন্ডনের প্রভাবশালী রাজনৈতিকদের তালিকায় টিউলিপ সিদ্দিক
২ বছর আগে