শ্রীলঙ্কায় চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরে হাজারো বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে তার পদত্যাগ দাবি করলে তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এদিকে বিক্ষোভ প্রশমিত না হওয়ায় রাজধানীর উপকণ্ঠে কারফিউ জারি করেছে পুলিশ।
কলম্বোর উপকণ্ঠে মিরিহানাতে রাজাপাকসের ব্যক্তিগত বাসভবনে যাওয়ার সময় বিক্ষুদ্ধ জনতা দুটি সেনা বাসে পাথর ছুড়ে। বাস দুটি বিক্ষোভকারীদের প্রেসিডেন্টের বাসভবনের দিকে যেতে বাধা দেয়ার কাজে ব্যবহার করছিল পুলিশ।
বাস দুটির মধ্যে একটিতে জনগণ আগুন ধরিয়ে দেয় এবং আগুন নেভাতে আসা আরেকটি ফায়ার ট্রাককে তারা ফিরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার ঋণের অনুরোধ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: মোমেন
এছাড়া বাসে হামলা থামাতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর সরাসরি কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করলে একজন গুরুতর আহত হন।
এ সময় ভারী রাইফেলসহ সশস্ত্র সৈন্যরা বিক্ষোভের কাছাকাছি অবস্থান করছিল। এছাড়া বিক্ষোভকারীরা মিরিহানা থানার আশপাশে জড়ো হয় এবং পুলিশ দুর্নীতিবাজদের রক্ষার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন এবং সেখানে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
শ্রীলঙ্কার বিশাল ঋণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং বৈদেশিক রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে। দেশটি আমদানির জন্য অর্থ পরিশোধেও লড়াই করছে। মানুষ জ্বালানির জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করেন। পর্যাপ্ত জ্বালানি না থাকায় দেশটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট পরিচালনা করা যাচ্ছে না। এ জন্য প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা দেশটিতে বিদ্যুৎ থাকছে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে: প্রধানমন্ত্রী
দিনে ১৩ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ না থাকার দিকে ইঙ্গিত দিয়ে দুলাজ মধুশান নামে এক বিক্ষোভকারী জিজ্ঞেস করেন, ‘কিভাবে মানুষ জীবিকা উপার্জন করতে পারে?’
পুলিশের মুখপাত্র নিহাল থালডুয়া জানিয়েছেন, কলম্বো ও শহরতলির কিছু এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং তা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চলবে।
কারফিউ জারি করা এলাকার মানুষজনকে বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং তা লঙ্ঘন করলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।