সরকারি মুখপাত্র ইসমাইল মুখতার এপিকে জানান, বহু লোককে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আমিন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের পরিচালক আব্দিকাদির আব্দিরহমান ৭৩ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।
মেয়র ওমর মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানান, নিহতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে নিহতদের মধ্যে দুজন তুর্কি নাগরিক আছেন।
ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ হুসেইন বলেন, একটি কর আদায়ের কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। ঘটনাস্থলের চারপাশে মরদেহ ও রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। রাজধানীর আকাশে বৃহৎ কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। আল-কায়েদা সমর্থনপুষ্ট আল-শাবাব প্রায়ই এ ধরনের হামলা চালিয়ে থাকে। কয়েক বছর আগে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে মোগাদিসু থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। তবে তারা সমুদ্র উপকূলীয় এ শহরের চেক পয়েন্ট এবং হোটেলগুলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোকে লক্ষ্য করে এ ধরনের হামলা চালিয়ে থাকে।
২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে মোগাদিসুতে ট্রাকবোমা বিস্ফোরণে ৫০০ নিহত হয়েছিলেন, যাতে আল-শাবাবকে দায়ী করা হয়েছিল। এ ঘটনা ব্যাপক জনরোষের জন্ম দেয়। তবে আল-শাবাব হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সোমালিয়ার দক্ষিণ এবং মধ্যাঞ্চলীয় এলাকায় আল-শাবাবকে লক্ষ্য করে বিমান হামলার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।