এর ফলে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সরকারি পাঁচ এজেন্টের শাস্তি রদ করার আইনি সুযোগ তৈরি হয়েছে।
জামাল খাসোগির এক ছেলে সালাহ খাসোগি টুইটারে লেখেন, ‘আমরা শহীদ জামাল খাসোগির ছেলেরা ঘোষণা করছি যে যারা আমাদের বাবাকে হত্যা করেছিলেন তাদের আমরা ক্ষমা করে দিয়েছি। আমরা সর্বশক্তিমান স্রষ্টার কাছ থেকে প্রতিদান কামনা করছি।’
সৌদি আরবে বাস করা সালাহ খাসোগি এ খুনের ঘটনায় রাজকীয় আদালত থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি জানান যে ইসলামিক ঐতিহ্য অনুযায়ী পবিত্র রমজান মাসের শেষ রাতে খুনিদের ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। ইসলামি আইনে মাফ করে দেয়ার এ সুযোগ রয়েছে।
খুনিদের ক্ষমা করে দেয়ার এ ঘোষণা অনেকটা প্রত্যাশিত ছিল। কারণ গত ডিসেম্বরে সৌদি আরবে মামলার রায়ে শাস্তি রদ করার সুযোগ রেখে বলা হয়েছিল যে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। খাসোগি হত্যা নিয়ে সৌদি সরকারের ব্যাখ্যাও এমনই। যদিও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
তবে সৌদি গণমাধ্যম আরব নিউজ শুক্রবার স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছে যে খাসোগির ছেলেরা অভিযুক্ত খুনিদের মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই দিয়েছেন, কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে তাদের কোনো শাস্তি হবে না।
২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর সৌদি যুবরাজের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তার মরদেহ বা দেহাবশেষের চিহ্ণ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক বিশ্বের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সৌদি সরকার।