তবে বক্তব্য না দিলেও ডেকে এনে ‘অপমান’ করার জন্য অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
নেতাজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সংগীতানুষ্ঠানের পরই মঞ্চে বক্তব্য দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতা মঞ্চে উঠতেই দর্শক আসন থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি উঠে আসে। আর তাতেই মেজাজ হারান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় আম্পান ‘করোনাভাইরাস থেকে বড় বিপর্যয়’: মমতা
রেগে গিয়ে মমতা বলেন, ‘সরকারি অনুষ্ঠানের মর্যাদা রক্ষা করা উচিত। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান নয়। আমি প্রধানমন্ত্রী এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে কলকাতায় এই অনুষ্ঠান রাখার জন্য কৃতজ্ঞ। কিন্তু, কাউকে ডেকে অপমান করা অশোভন।'
পরবর্তীতে ‘জয় হিন্দ, জয় বাংলা’ বলেই মঞ্চ থেকে নেমে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে, ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি নতুন করে উত্তাল হওয়ার তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর অপমানকে স্বাভাবিকভাবেই ভালো চোখে নেয়নি তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: আপনি প্রধানমন্ত্রী নাকি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত: মোদিকে প্রশ্ন মমতার
প্রসঙ্গত, নেতাজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রীর আগে বক্তব্য দিতে মঞ্চে উঠেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান ছিলেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়ও। মুখ্যমন্ত্রী আসতেই উৎসাহী কিছু জনতা এই স্লোগান তোলেন। এর আগে নেতাজি ভবন থেকে বেরোনোর সময়ও বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন।