বীমার টাকা পরিশোধ না করায় সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বোন অধ্যাপক রুবিনা হামিদসহ সাত জনের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের দায়ের করা মামলায় পরোয়ানা ইস্যু করেছেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসলাম রেজা, অডিট অফিসার মো. সাইদুর রহমান খান ও কোম্পানি সচিব মো. রবিউল ইসলাম। এছাড়াও মামলায় আর দুজন আসামির নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুনিসার দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
সংশ্লিষ্টরা জানান, সারাদেশে সানলাইফ ইন্সুরেন্সের কাছে ৩০ কোটি টাকার বেশি পাওনা হয়েছে গ্রাহকরা। কুষ্টিয়া ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নড়াইলসহ আরও কয়েকটি জেলায়ও কোম্পানির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। সেসব মামলার কয়েকটিতে ওয়ারেন্টও জারি হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পরে থাকে তাদের বীমা দাবি টাকা পরিশোধ না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলা দায়ের হলেও বীমা কোম্পানিটির মালিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পরিবারের সদস্য হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল মতিন খন্দকার বলেন, গ্রাহক প্রতারণায় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোন অধ্যাপক রুবিনা হামিদসহ সাতজনের কুষ্টিয়ার আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এখন পর্যন্ত আমার কাছে এ সংক্রান্ত মোট ১১টি মামলা আছে। মোট গ্রাহক ৪৯৭ জন। মোট অর্থের পরিমাণ ৯০ লাখ ৬২ হাজার ৯২৬ টাকা। নয়টি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। দুটি মামলা লকডাউনের জন্য স্থগিত আছে। এর মধ্যে ছয়টি মামলার ওয়ারেন্ট সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর ভুক্তভোগীদেও মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
অভিযোগ প্রসঙ্গে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়ার মামলার বিষয়ে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। করোনার কারণে কিছু ল্যাকিং (ঘাটতি) তৈরি হয়েছিল। আশা করি আগামী (জুন) মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান করে ফেলব।
তার দাবি, কোম্পানির আগের কিছু কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে বেশকিছু বীমা দাবি আটকে ছিল। আমরা ইতোমধ্যে ৩-৪টি মামলার দাবিগুলো পরিশোধ করেছি। লকডাউনের কারণে কিছু মামলার দাবি পরিশোধ করতে পারিনি। শুনেছি, আমাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আমরা দ্রুত এ বীমা দাবিগুলো পরিশোধ করব।