সম্প্রতি রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিসিক চেয়ারম্যানের হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেয়া হয় বলে বুধবার বিসিকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতিতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান। সেইসব ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে বাংলাদেশ আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স (বিএসিসি) ও ইয়ুথ কমার্স কমিউনিকেশন ইন্টারন্যাশনাল (ওয়াইসিসিআই)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ও বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নুরুল ইসলাম বাবুল পেলেন মরণোত্তর গ্লোবাল সিএসআর অ্যাওয়ার্ড
আরও পড়ুন: তরুণ ও নারী উদ্যোক্তাকে বিজনেস ইনকিউবেশন সুবিধা দেবে বিসিক
করোনার প্রভাবে যেখানে দেশের বেশির ভাগ শিল্প কারখানাই বন্ধ ছিল সেখানে বিসিকের সার্বিক সহায়তায় বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত শিল্প ইউনিটগুলো নিয়মিতভাবে করোনা প্রতিরোধকমূলক পণ্য (মেডিকেল অক্সিজেন, পিপিই, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশক), চাল, ডাল, তেল, আটা, ময়দা, সুজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য এবং জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, কৃষি যন্ত্রাংশ, কীটনাশক ও সার উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত রাখে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার সাথে সাথেই প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ৩১ দফা নির্দেশনার আলোকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিসিকের ৭৬ শিল্পনগরীতে অবস্থিত শিল্প ইউনিটগুলো পণ্য উৎপাদন, মাঠে লবণ চাষ ও লবণ মিলগুলোতে আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন এবং ট্যানারিগুলোতে চামড়া প্রক্রিয়াজাত অব্যাহত রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন অবস্থায়ও উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত রাখতে করোনা মোকাবিলার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন বিসিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বিসিক শিল্পনগরীর শিল্প মালিকদের সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয় সব ধরনের সার্ভিস চার্জ ও বিসিকের নিজস্ব তহবিল ঋণের কিস্তি আদায়। প্রণয়ন করা হয় বিসিক শিল্পনগরী ও লবণ মিলের জন্য অনুসরণীয় স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধি। বিসিকের প্রতিটি কার্যালয়ে স্থাপিত হয় হেল্পডেস্ক।
শিল্পখাতের অংশীজনদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন, শিল্পখাত ভিত্তিক ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ, প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ প্রাপ্তি সহজিকরণ বিষয়ে সুপারিশ, ঋণ প্রাপ্তিতে ব্যাংক ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন, মাইক্রো ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদানের জন্য সিড মানির প্রস্তাব, জেলা পর্যায়ে শিল্প ঋণ বিতরণ ও মনিটরিং কমিটি গঠন, নিয়মিতভাবে অনলাইন সভা এবং রোস্টার ডিউটির মাধ্যমে শিল্প উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সহায়তামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বিসিক।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়ন জোরদারে বিসিকের কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা শিল্প প্রতিমন্ত্রীর
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মাসব্যাপী বিসিক-ঐক্য উদ্যোক্তা মেলা শুরু
আরও পড়ুন: আয়োডিনের দাম কমাল বিসিক
সংস্থাটি নিজ দপ্তরের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকেও সহায়তা করে যাচ্ছে সমান তালে। তারা জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছে।
বস্তুতপক্ষে দেশের এবং মানুষের প্রয়োজনেই শিল্প, আর এই শিল্পের প্রয়োজনেই বিসিক। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিসিকের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।