গত কয়েকবছর ধরে কোরবানির পশুর চামড়ার দামে এ করুণ ও নাজুক অবস্থার জন্য সবাই সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক লাখ বা তার বেশি দামে কেনা গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ১০-২০ টাকা করে। যা সবাইকে হতাশ ও বিস্মিত করেছে।
ঈদের দিন শহর ও গ্রামের অধিকাংশ স্থানে গরুর চামড়ার ক্রেতা না আসায় অনেকেই কোরবানির চামড়া দান করেছেন মাদরাসা ও এতিমখানায়।
সদরের তরপুরচন্ডীর হোসেন গাজী জানান, তার গরুর দাম ছিল লাখ টাকা। কিন্তু চামড়াটি দেড়শ টাকায় বিক্রি করেছেন।
শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হানিফ মিয়া জানান, তার ৬৪ হাজার টাকার গরুর চামড়া কেউ কিনতে আসেনি। পরে এটা এতিমখানায় দান করে দিয়েছেন।
এদিকে কচুয়া, মতলব, হাইমচর, ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তিতেও গরুর চামড়ার মূল্য ১০০-১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।
চাঁদপুর শহরের ষোলঘর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ কেফায়েতউল্লাহ জানান, চামড়ার দাম খুবই কম হওয়ায় অতি গরীব, দুখীরা বঞ্চিত হচ্ছে। গত কয়েকবছর ধরেই চামড়ার দামে এমন ধস দেখা যাচ্ছে।
আগামী বছরগুলোতে চামড়ার দাম ‘গরীবের হক’ এ কথা বিবেচনা রেখে সরকারের নীতি নির্ধারকরা যেনো দাম বৃদ্ধি করে, বলেন তিনি।
শহরের পালবাজারের পশুর চামড়া ব্যবসায়ী আনোয়ার গাজী, জহির হোসেন ও সাজজ্জাদ পটোয়ারি জানান, জেলায় প্রায় ২৫ জন চামড়ার ব্যবসায়ী আছেন। খুচরা চামড়া ব্যবসায়ী আছেন আরও প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জন।
তারা জানান, তারা একত্রে অনকেগুলো চামড়া মাদরাসা থেকে কিনেছেন। প্রতিটি মানসম্মত গরুর কাঁচা চামড়া গড়ে ৬০০-৭০০ টাকায় কেনা হচ্ছে। ছোট সাইজের গরুর চামড়া ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ছাগলের চামড়াগুলো আরও কম দামে কেনা হচ্ছে।
তারা আশা করছেন, কোনো সিন্ডিকেট না থাকলে তারা এবার লাভের মুখ দেখবেন।