বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসীরা ২.০৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত বিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪ মাসের মধ্যে জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ সবচেয়ে বেশি।
ব্যাংকার ও সংশ্লিষ্টরা জানান, জুলাই মাসে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। ঈদে সাধারণত প্রবাসীরা তাদের আত্মীয়দের কাছে অতিরিক্ত টাকা পাঠান।
বিবির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আরও রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সহজ করেছে।
সরকার রেমিট্যান্স প্রণোদনার পাশাপাশি নীতিগত সহায়তা প্রদান করছে। এখন ডলারের দাম বেশি বলেও জানান তিনি।
‘এছাড়া, গত মাসে ঈদুল আজহা ছিল, পরিবারের ঈদ উৎসব সুন্দরভাবে উদযাপন করতে প্রবাসীরা অর্থ পাঠিয়েছেন। এসব কারণে রেমিট্যান্স বেড়েছে। আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে,’ বলেন সিরাজুল।
গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
করোনা মহামারির ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির কারণে বিমান চলাচলের পাশাপাশি বৈশ্বিক চলাচলের বিধিনিষেধের মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ২৪.৭৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পেয়েছে।
এরপর এরপর ২০২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আয় ২১.০৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
এই খাতের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোয় উদ্দীপনাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ সত্ত্বেও প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রেমিটেন্স অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
সূত্র জানায়, মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বসবাসকারী অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী বৈধ কাগজপত্রের অভাবের কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন না।
ফলে তাদের আয় বাংলাদেশে স্বজনদের কাছে পাঠানোর জন্য অবৈধ হুন্ডি ও অন্যান্য অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের ওপর নির্ভর করতে হয়।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার
রেমিট্যান্স প্রবাহকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বিধান