এদিকে, বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দুই বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় শত শত পণ্য বোঝায় ট্রাক আটকা পড়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরকে ঘিরে সক্রিয় শক্তিশালী চোরাচালান সিন্ডিকেট
আটকেপড়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, মাছ, শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, মেশিনারিজসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৫ শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও দেড় শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদনে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা বেনাপোল বন্দরে আসা-যাওয়া করতেন। কিন্তু সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সম্প্রতি নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে তাদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। এছাড়া বিএসএফের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া ট্রাক তল্লাশিতে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হতে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। কিন্তু কোনো সমাধান না আসায় বাধ্য হয়ে বন্দর জীবন-জীবিকা বাঁচাও সংগঠনটি কর্মবিরতি পালন করে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: টানা ৪ দিন বন্ধের পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ভারতীয় সংগঠনটির ৫ দফা দাবির মধ্য রয়েছে, সাধারণ ব্যবসায়ী এবং মুদ্রা বিনিময়কারী পরিবহন, ক্লিয়ারিং ও ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট ও ট্রাকচালক সহকারীর ওপর বিএসএফ ও অন্যন্য এজেন্সির নিরাপত্তার নামে অত্যাচার বন্ধ করতে হবে; অবিলম্বে আগের মতো হ্যান্ডকুলি ও পরিবহন কুলিদের কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে; বাণিজ্যিক স্বার্থে আগের মতো পণ্যবাহী চালক ও সহকারীদের হেঁটে পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দরের মধ্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে; বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে যাওয়া পরিবহনের ট্রাকগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং আধুনিকতার অজুহাতে বন্দরের শ্রমিকদের কর্মহীন করা চলবে না।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে বোমা বিস্ফোরণ, বন্দরজুড়ে আতংক
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা যেমন লোকসানের মুখে পড়েছেন। সন্তোষজনক সমাধানের মাধ্যমে দ্রুত পণ্য পরিবহন শুরু হবে এমনটি আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এতে সবাই ক্ষতির মুখে রয়েছেন। তবে বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম সচল রয়েছে। চলমান সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে যাতে দ্রুত বাণিজ্য সচল হয় তার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ট্রাকসহ শাড়ির চালান আটক
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীর যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।