তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, যা চাঙা পুঁজিবাজারের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করবে।’
‘ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রোটেকশন’ শীর্ষক এক আঞ্চলিক সেমিনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) যৌথভাবে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ সেমিনারের আয়োজন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য মূল হলো শিল্পায়ন এবং এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ মূলধনের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিশ্বাস করে যে পুঁজিবাজার সাধারণ জনগণের সাথে অংশীদারিত্ব তৈরির মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
‘যত বেশি মানুষ পুঁজিবাজারে সম্পৃক্ত হবে তত বেশি এটি আমাদের শিল্পায়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি জানান, বর্তমান সরকার একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার তৈরির জন্য কাজ করছে, যা বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক চাহিদা পূরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন স্তর থেকে দুর্নীতি নির্মূলে জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। বিএসইসির সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকার আরও লোকবল নিয়োগসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
পুঁজিবাজার এখনো খুচরা বিনিয়োগকারী নির্ভর রয়ে গেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।’
ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি কমাতে বিএসইসি দেশব্যাপী বিনিয়োগ বিষয়ে শিক্ষাদান কার্যক্রম চালাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে বিভাগ পর্যায়ে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে তা জেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
‘আসলে, বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের মূল চালিকাশক্তি। তারা যদি তথ্য ভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে তা একদিকে বিনিয়োগ ঝুঁকি হ্রাসে সাহায্য করবে এবং অন্যদিকে স্থিতিশীল বাজার নিশ্চিতে সহায়ক উপাদান হিসেবে কাজ করবে,’ যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ ও বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।