বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দুরাইস্বামীর রাজধানীর মতিঝিলে নতুন সংস্কার করা এফবিসিসিআই আইকন ভবন পরিদর্শনকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘অনেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এফবিসিসিআইয়ের ইমপ্যাক্ট ৪.০ উদ্যোগে প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে এফবিসিসিআই এডিআর সেন্টার, টেক সেন্টার, স্কিল ল্যাব, এফবিসিসিআই ইনস্টিটিউট, এফবিসিসিআই ইউনিভার্সিটি, ইকোনমিক অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড রিসার্চ সেন্টার, মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ/সেমিনার/স্কিলস অডিটোরিয়াম এবং বিশ্বব্যাপী ফেডারেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আমাদের দেশের বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলোর এলডিসির বর্ধিত সুবিধাসমূহ, এসডিজি ২০৩০ এবং ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের রোডম্যাপ।’
দুই দেশের ঐতিহ্য ও মানবতার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলো মোকাবিলায় আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করব, যা আমাদের মানবতার ঐতিহ্য ও আমাদের নেতৃত্বের পরিপূরক সহযোগিতায় ভিশন বাস্তবায়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।’
এছাড়া, বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই লাভবান হয় এমন রপ্তানি, যৌথ উদ্যোগ, বিভিন্ন খাতে ভ্যালু চেইন চিহ্নিত করা ও সে বিষয়ে কাজ করার আশ্বাস দেন শেখ ফজলে ফাহিম।
এ সময় ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের কাঙ্ক্ষিত সম্ভাবনা অর্জনের অন্যতম উপায় হচ্ছে বাংলাদেশি রপ্তানি উপকরণ, অটোমোবাইল, মোটরবাইক যন্ত্রাংশ উৎপাদন, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, কোয়ান্টাম ইন্টারনেট, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, সাইবার সিকিউরিটি, দক্ষতা, ডিজিটাল উপকরণের গবেষণা-উন্নয়ন ও উৎপাদনে যৌথ উদ্যোগের পাশাপাশি অন্য বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দেয়া।
দুই দেশের মধ্যে প্রধান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান হয়েছে উল্লেখ করে বিক্রম দুরাইস্বামী বলেন, ‘খাদ্যে পর্যাপ্ততা, ভ্যাকসিন উৎপাদন, রিসোর্স জেনারেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। আমরা দুই দেশের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে অর্থনৈতিক সহযোগিতায় আরও বড় অংশীদারিত্বমূলক কাজে এগিয়ে যেতে পারি।’
এছাড়া, বাংলাদেশের জন্য তৈরি পোশাক, কৃষি ব্যবসা, এপিআই, ফার্মাসিউটিক্যালস, অটোমোবাইল, পরিবেশবান্ধব গণপরিবহনে ভারতের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন দুরাইস্বামী।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সুবিধার্থে নৌপথ ও রেলপথের সরাসরি সংযোগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. রেজাউল কারিম রেজনু, পরিচালক সুজিব রঞ্জন দাশ, মো. মুনির হোসেন, ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বদ্বীপ দে, বাণিজ্য কর্মকর্তা প্রমেশ বাসাল প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।