রবিবার সকালে রাজধানীর উত্তরা জসিম উদ্দিন মোড়ে অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদ পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ‘এই শহরে ব্যবসা করবেন, কিন্তু পারমিশন নিবেন না এটা তো হতে পারে না।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা এই যে সাইনবোর্ড ভাঙছি, তাদেরকে বার বার বলা হয়েছে, একমাস যাবৎ বলা হয়েছে, আমরা পেপারে নোটিস দিয়েছি, গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। তারপরেও তারা কর্ণপাত করছেন না। এই যে ভবনগুলো দেখছেন, এখানে এতগুলো সাইনবোর্ড আছে, এরা কেউই সাইনবোর্ড বাবদ ট্যাক্স দেন নাই। কিন্তু তারা বাণিজ্য করে যাচ্ছেন।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই শহরকে নিয়মের মধ্যে আসতে হবে। এই শহরের অভিভাবক আছেন। মেয়র ও কাউন্সিলররা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। মেয়রের দায়িত্ব জনগণের জন্য একটা কম্ফোর্টেবল শহর বাস্তবায়ন করা। এই যে সাইনবোর্ডগুলো দেখছেন, এটা সম্পূর্ণ একটি বিশৃঙ্খলা। আমরা যেখানে অনিয়ম দেখব সেখানে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
ডিএনসিসির অন্যান্য এলাকায়ও এ ধরনের অভিযান পরিচালিত হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমরা পর্যায়ক্রমে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মগবাজার, কারওয়াবাজার, মালিবাগ যত জায়গা আছে সব জায়গায় যাব। যেহেতু আমাদের লোকবল সঙ্কট আছে, তাই আমরা আস্তে আস্তে কাজটি করছি।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হলে, মশক নিধন করতে হলে, এমনকি আমাদের কর্মচারীদের বেতন দিতে হলে, আমাদেরকে ট্যাক্স আদায় করতে হবে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আসুন একটা সুন্দর শহর করি। এই শহর আমাদের সকলের। এখনো সময় আছে যারা সাইনবোর্ডের অনুমোদন নেননি, মাপ দেখে নির্দিষ্ট হারে কর প্রদান করুন।’
এদিকে, ডিএনসিসির পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেটের পরিচালনায় উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাত ও সড়কে অবৈধভাবে রাখা নির্মাণসামগ্রী নিলাম ও অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় প্রায় ৯০০টি অবৈধ সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৬টি মামলায় ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এছাড়া সড়ক ও ফুটপাতে রাখা নির্মাণসামগ্রী এবং অপসারণকৃত সাইনবোর্ড নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৫ টাকা পাওয়া যায়।