এর আগে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ২ হাজার ১৩৩ মেট্রিকটন চাল এই বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে চাল আমদানির ক্ষেত্রে চালের এইচএস কোড বিন্যাস সঠিক না হওয়ায় এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। একারণে দেশে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে।
বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে সিদ্ধ চাল (নন-বাসমতি) আমদানি করতে হলে ১০০৬.২০-০০ এই নম্বর বিশিষ্ট এইচএস কোডে (হারমোনাইসড সিস্টেম) আমদানি করতে হয়। যা পণ্য শনাক্তকরণ কোডও বলা হয়। সে অনুয়ায়ী, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকারকেরা ভারত থেকে ওই এইচএস কোডে চাল আমদানি করছেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার ভারতের চাল রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা আমাদের জানিয়েছেন তাদের দেশের সরকার ১০০৬.৩০.৯০ এই এইচএস কোড ছাড়া চাল রপ্তানি করবে না। ফলে পূর্বের ১০০৬.২০-০০ এই এইচএস কোড অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় গত বুধবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে বিষয়টি সমাধানে ভারতের ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শনিবার শুরু
বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সেরেগুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে যে এইচএস কোডের মাধ্যমে ভারত থেকে চাল আমদানি করা হয়েছে এবং এখন যে এইচএস কোডের মাধ্যমে আমদানির কথা বলা হচ্ছে তা প্রায় একই এইচএস কোড। এই দুই এইচএস কোডের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। সবই সিদ্ধ চাল এবং একই মানের। কিন্তু ভারত সরকার চালের রপ্তানি মূল্য বাড়ানোর জন্য এই কৌশল করছে। কারণ এর আগেও দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে গম আমদানি করা হচ্ছিল। পরে স্থলবন্দর দিয়ে গম রপ্তানি বন্ধ করে দিয়ে তারা তাদের পছন্দের লোকদের দিয়ে সমুদ্রপথে রপ্তানি শুরু করে। যাতে অন্য কেউ ব্যবসা করতে না পারে। চালের ক্ষেত্রেও তারা এই পথে হাঁটছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তিত।’
আরও পড়ুন: বড়দিনের আনন্দ নেই হিলির খ্রিষ্টানদের মাঝে
এদিকে বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, এই বন্দর দিয়ে গত ৯-১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত থেকে ৫৪টি ট্রাকে মোট ২,১৩৩ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হয়েছে। এরপর থেকে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
দীর্ঘ ১৯-২০ মাস পর গত ৯ জানুয়ারি থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। আমদানিকারকেরা প্রতি মেট্রিকটন নন-বাসমতি চাল ৩৫৬ ডলারে আমদানি করেন। এরফলে বন্দরে ব্যবসায়ী, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কুলি-শ্রমিকদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যতা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের সাথে হিলি বন্দরে কাঁচা মরিচের দামও বাড়ছে
সম্প্রতি দেশে চালের বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকার ভারত থেকে বেসরকারি খাতে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে হিলিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার আমদানিকারকেরা ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু করে।