এমন পরিস্থিতিতে এপ্রিলের মাঝামাঝিতে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। আর এই রমজানকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়িরা কৌশলে দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া রমজান নির্ভর পণ্যগুলোর দাম আগেই বাড়াতে শুরু করেছে তারা।
আরও পড়ুন: মানুষের ঘরে থাকা নিশ্চিতে নিত্যপণ্যের বাজার পুনর্গঠন প্রয়োজন, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
খুলনার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানে অতি প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দাম এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে।
মঙ্গলবার প্রতি কেজি ছোলা মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৬০-৬২ টাকা, যা এক মাস আগে বিক্রি হয় ৫৬-৫৮ টাকা। প্রতি কেজি মশুরের ডাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ৬৭-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমান চিড়ার দাম ৬০-৬২ টাকা আর এক মাস আগে ছিল ৫০-৫২ টাকা। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল এখন ১৩৫ টাকা, আগে ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কোম্পানি ভেদে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেল ১৩৫-১৪০ টাকা। পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৬ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি ছিল ২৫ থেকে ২৮ টাকা। মানভেদে চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬৫ টাকা।
আরও পড়ুন: নিত্য পণ্যের বাজার এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে: জিএম কাদের
রূপসা বাজারের ক্রেতা রেজাউল ইসলাম বলেন, এখন আর রোজায় দাম বাড়ানো হয় না। আগে থেকেই দাম বাড়তে থাকে। তিনি বাজার স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
আপর ক্রেতা ময়না আক্তার বলেন, বর্তমানে বাজারের যে অবস্থা তাতে ক্ষুদ্র আয়ে তিন বেলা দু’মুঠো খাওয়াই দুষ্কর।
একই কথা বলেন, বাজার করতে আসা আরও অনেকেই।
আরও পড়ুন: মানুষের ঘরে থাকা নিশ্চিতে নিত্যপণ্যের বাজার পুনর্গঠন প্রয়োজন, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি’র খুলনা অফিসের ঊর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল মোর্শেদ বলেন, নগরীর ৭টি পয়েন্টে নিয়মিত টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। পেঁয়াজ ১৫ টাকা, চিনি ৫০ টাকা, মশুরের ডাল ৫৫ টাকা, সয়াবিন তেল ৯০ টাকায় ভোক্তাদের দেয়া হচ্ছে। তবে রমজান উপলক্ষে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের কোন নির্দেশনা এখনো আসেনি।