সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে থেকে খুলেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রুম বুকিং দেয়া যাবে না। তবে পুরোপুরি বন্ধ থাকবে কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
এর আগে সারাদেশের মতো করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার বাড়তে থাকলে এ বছরের ১ এপ্রিল কক্সবাজারের সকল পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি পর্যটন এলাকার হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউজগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
কক্সবাজার জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউজগুলো খোলে দেয়ার এ কথা জানায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৩ ফসলি জমি ভরাট, বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ড মামুনুর রশীদ বলেন, ‘পর্যটন সংশ্লিষ্ট মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের দাবির প্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস খুলে দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে গঠন করা হয়েছে একটি মনিটরিং কমিটি। এই কমিটি হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা বেঁধে দিয়েছে। দিকনির্দেশনা সমূহ বাস্তবায়নে কোন ব্যত্যয় ঘটলে মনিটরিং কমিটি আবারও বন্ধ করে দেবে হোটেল মোটেল।’
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টর বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সব বিচার বিশ্লেষণ করে সীমিত পরিসরে হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস খুলে দেয়া হয়েছে। খোলার পর স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে পুলিশ-প্রশাসনের চেয়ে হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষের চ্যালেঞ্জ বেশি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। রক্ষা করতে হবে প্রতিশ্রুতি। ব্যবসা করতে হবে নিজের ও অন্যের জীবনকে ঝুঁকিতে না ফেলে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর তুলনায় ভাসানচর অনেক উন্নত: জাতিসংঘ
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে গৃহীত শর্তগুলো হলো-বেড়ানোর উদ্দেশে কোন পর্যটক রুম বুকিং নিতে পারবে না। মাত্র ৫০ শতাংশ কক্ষ বুকিং দেয়া যাবে। রুম সার্ভিস ব্যতীত বন্ধ থাকবে রেস্টুরেন্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে কক্ষ ভাড়া দেয়া যাবে না। বন্ধ থাকবে সুইমিংপুল। হোটেলের প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক স্প্রে ও তাপমাত্র পরিমাপের ব্যবস্থা রাখতে হবে। লবিসহ সকল কক্ষে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া পুরো হোটেলে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। শর্ত ভাঙলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।