সেই সাথে তিনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সুরক্ষা, দক্ষতা এবং স্থায়ীত্বের জন্য রোডম্যাপ অনুসরণ এবং ন্যায্যমূল্যের জন্য বোঝাপড়া গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন।
বুধবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ইইউ-বাংলাদেশের পোশাক বাণিজ্য নিয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ইউরোপীয়ান পিপলস পার্টির ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য (এমইপি) টমাস জেডেচভস্কি এবং ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাস যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বলে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
চীনের পরে দ্বিতীয় বৃহৎ তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে ইইউতে ১৯ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।
শাহরিয়ার বলেন, গত সাত বছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে অনেক উন্নতি এবং পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন এক বাংলাদেশের কথা চিন্তা করেন যেখানে সমৃদ্ধ অর্থনীতিতে সমতা সামাজিক ন্যায়বিচার বিরাজ করবে।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজে তৈরি পোশাক শিল্পের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, নারী কর্মীরা এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছেন। গত চার দশকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও এ খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
এ সময় আইডেন্টিটি অ্যান্ড ডেমোক্রেসি গ্রুপের এমইপি এবং দক্ষিণ এশিয়ার আইএনটিএ’র দূত ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং এতে পোশাক খাতের অবদানের প্রশংসা করেন।
তিনি এ শিল্পের অবশিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং এলডিসির মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের সহজে বের হওয়ার সুবিধার্থে ইউরোপীয় সংসদের সহায়তার আশ্বাস দেন।
আলোচনায় বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক বলেন, বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি সম্পর্কে এখনই ধারণা বদলানো প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প অংশীদারিত্বের জন্য এখন উন্মুক্ত এবং শ্রমিকদের সুরক্ষার বিষয় নিয়ে এখানে গোপন করার কিছু নেই।