দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টে আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে অবস্থান করা ভারতীয় ট্রাক চালকদের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন চালক আহত হয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আধাবেলা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে দুই দেশের ব্যবসায়ী, ট্রাক পরিবহন চালক ও পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সুরাহা হলে দুপুর ২টা থেকে ফের আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, ‘গতকাল বুধবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্যবাহী শতাধিক ভারতীয় ট্রাক পানামা পোর্টে প্রবেশ করে। এসময় কিছু পণ্যবাহী ট্রাক থেকে পণ্য খালাস করা হলেও অন্য ট্রাকগুলো পণ্য খালাসের অপেক্ষায় পানামা পোর্টে অবস্থান করছিল। গতরাত ১১টার দিকে ভারতের হিলির ট্রাক চালকরা কোনো কারণ ছাড়াই উত্তর প্রদেশের ট্রাক চালকদের ওপর চড়াও হয়। এসময় উত্তর প্রদেশের চালকরা বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উত্তর প্রদেশের চালক খুরশিদের হাত এবং মাথা ফেটে যায় এবং আনাস অজ্ঞান হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পানামা পোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বিকল, ৪ ঘণ্টা পর হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
তিনি আরও জানান, ‘পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে আহত দুজন চালককে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে উত্তর প্রদেশের চালকরা সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দরের গেটে অবস্থান নেয়। এতে করে সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে দুপুরে চেকপোস্টের জিরোপয়েন্টে দুই দেশের ব্যবসায়ী, পুলিশ, ট্রাক চালক ও বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও জানান, বৈঠকে আহতদের ক্ষতিপূরণসহ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে উত্তর প্রদেশের ট্রাক চালকেরা ব্যারিকেড তুলে নেয়। এরপর দুপুর ২টা থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ট্রাক চালকদের আকস্মিক ধর্মঘটে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি বন্ধ