তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেই না। জনগণকে বোকা বানানোর জন্য তারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করছে। প্রকৃতপক্ষে এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে।’
এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের টনক নড়াতে আমরা মানববন্ধন, মিছিল ও হরতালসহ অনেক কিছু করেছি। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত টনক নড়াতে পারিনি। কারণ তারা বিশেষ শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আছে।’
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেক হয়েছে। এভাবে আর চলতে পারে না। আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই- অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, অবিলম্বে জনগণের চোখের ভাষা বুঝে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জনগণের উত্তাল ঢেউয়ে আপনারা সবাই ভেসে যাবেন।’
জনগণকে আওয়াজ তুলে সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং ১৯৯০ সালে গণতন্ত্রের জন্য যেভাবে লড়াই-সংগ্রাম করেছিলাম সেভাবে আমাদের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ভিন্নমতকে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য সরকার সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ মানুষ যারা ভিন্নমত পোষণ করে লেখালেখি করেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো কথা বলে তখনই তাদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দিচ্ছে।’