বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে সংলাপ শুরু করেছে,তাতে তার দলের কোনো আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, আমরা আগেই বলেছি যে আমরা এই ইসি গঠন প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই জড়িত নই এবং আমরা এর কোনো কিছুতে (সংলাপে) যোগ দেবো না।
মঙ্গলবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হলে একটি ভালো ইসির পক্ষেও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এ কারণে আমরা এতে (সংলাপে) আগ্রহী নই। আলোচনায় কাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে,কারা নেই, কারা এতে যোগ দিচ্ছেন এবং তারা কী বলছেন; তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আমাদের একমাত্র দাবি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন।
এর আগে সকালে, নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৫ জন সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপের প্রস্তুতির জন্য চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে আলোচনায় বসেন।
যদিও ৪০ জন সুশীল সমাজের সদস্যকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে মাত্র ১৫ জন এতে অংশ নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ফখরুল বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে কী ধরনের সরকার ক্ষমতায় থাকবে তা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আলোচনায় অনেক আমন্ত্রিত অতিথির অনুপস্থিতি প্রমাণ করেছে তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণে সুশীল সমাজেরও এতে কোনো আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, ‘গত দুই-তিনটি নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে পারে না।’
জনগণ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন,‘আমরা গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধির সম্পূর্ণ বিপক্ষে। কারণ আমরা এই ধরনের উদ্যোগকে গণবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করি।’
তিনি বলেন, ‘সারাদেশের মানুষ ইতোমধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে। এখন যদি পানি, বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়, তাহলে সব পণ্যের দাম আরও বাড়বে। আমরা এটাকে কোনোভাবেই সমর্থন করি না।’
এসময় সরকারকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
সংগঠনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জিয়া পরিষদের নেতা ও অনুসারীদের নিয়ে ফখরুল জিয়ার সমাধিতে যান এবং সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।