নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে চলমান সংলাপকে বিএনপি প্রহসন বলে অভিহিত করেছে। কারণ তারা মনে করে এটি দেশে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখবে না।
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই সংলাপ মোটেও একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে নয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারকে দোষারোপ করছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘একজন পাগলও বিশ্বাস করে না, যে সরকার- তার প্রতিপক্ষকে নির্বাচনে যেতে দেয় না এবং ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয় না- সেই সরকার একটি নিরপেক্ষ ইসি গঠন করবে এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করবে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘কিন্তু তারা প্রহসনের জন্য সংলাপ করছে। এই সংলাপ প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়,এটা জাতির সঙ্গেও তামাশা।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে সরকার সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি পুনর্গঠন করছে, দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এমনটা দেখানোর জন্য সরকার এই সংলাপের আয়োজন করছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ২ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
রিজভী বলেন, আলোচনার উদ্দেশ্য হলো আওয়ামী লীগপন্থী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা যা নুরুল হুদা ও রকিবউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন সরকারের মতো সরকারের অধীনে থাকবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইনসান আলম আক্কাসের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী রিজভীকে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত ২০ ডিসেম্বর সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রথম আলোচনার মাধ্যমে নতুন ইসি গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন।
বিএনপির নেতারা ইসি নিয়ে সংলাপের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করলেও গত ২২ ডিসেম্বর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তাদের দল এখনো সংলাপে যোগদান বা বয়কটের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
আরও পড়ুন: উস্কানি মামলায় বিএনপি নেতা আমীর খসরুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
তিনি বলেন, বঙ্গভবন থেকে আলোচনায় যোগ দেয়ার আমন্ত্রণপত্র পেলেই দলের স্থায়ী কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।
আলোচনার পর সার্চ কমিটির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন তাকে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।