পঞ্চগড় শের-ই-বাংলা পার্কের মুক্তমঞ্চে পঞ্চগড় পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিজেপি‘র ক্ষমতা গ্রহণের দিন রসগোল্লা খেয়ে ছিলেন মির্জা ফখরুলরা : নানক
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন মানেই আওয়ামী লীগ। উন্নয়নের প্রতীক নৌকা। আগামী দিনে পৌরসভার উন্নয়ন দেখতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী জাকিয়া খাতুনকে জয়ী করতে হবে।
নানক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনাদের মেয়র প্রার্থী জাকিয়াকে অনেক ভালোবাসেন। তিনি পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করতে পারবেন।’
‘দীর্ঘ ২৫ বছর পঞ্চগড় পৌরসভায় বিএনপির মেয়র। আমি পঞ্চগড়ে আগেও এসেছি, অনেক দিন পর এবার এলাম। পৌরসভার আগের চিত্র যা দেখেছি এখনও তাই রয়েছে। কোনো উন্নয়ন হয়নি। পৌরসভার রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সবকিছুর অবস্থা নাজুক। তাই পঞ্চগড় পৌরসভায় উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী জাকিয়া খাতুনকে জয়ী করতে হবে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপির কোনো এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়নি: নানক
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য নানক বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে, অথচ পঞ্চগড়ের পৌর মেয়র বলে বেড়ান তিনি বিএনপি সমর্থিত হওয়ায় এখানে উন্নয়ন ঘটাতে পারেননি। আমি পাঁচ বছর স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে একবারও পঞ্চগড়ের বিএনপি সমর্থিত বর্তমান মেয়র আমার কাছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের আবেদন নিয়ে যাননি। এ জন্য নিয়মিত সরকারি বরাদ্দের বাইরে তিনি বিশেষ কোনো বরাদ্দ না পাওয়ায় উন্নয়নও ঘটাতে পারেননি। অথচ তার এ ব্যর্থতার দোষ দেন সরকারকে।’
নানক আরও বলেন, ‘একজন ব্যর্থ মেয়রের কারণে পৌরবাসী উন্নয়ন বঞ্চিত থাকতে পারেন না। ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে তাকে বিদায় নিতে হবে। এবার ভোটারদের সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। শেখ হাসিনার আস্থাভাজন প্রার্থী জাকিয়া খাতুনকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের মহাসড়কে তাল মিলিয়ে চলাচল করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়ত, ঐক্যফন্ট অবৈধ টাকা ছড়াচ্ছে : নানক
আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এক হয়ে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।
পৌর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আবু তোয়বুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, আওয়ামী লীগ নেতা আব্বাস আলী, অ্যাডভোকেট মির্জা সারোয়ার হোসেন, আবু সারোয়ার বকুল, প্রার্থী জাকিয়া খাতুন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আল তারেক, সাধারণ সম্পাদক এসএম হুমায়ুন কবীর উজ্জ্বল প্রমুখ বক্তব্য দেন।