বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে অন্তবর্তী সরকার একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের জনগণের ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে এবং তাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করে যাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জাপানের রাজধানী টোকিওতে আয়োজিত ‘নিক্কেই ফোরাম: থার্টিয়েথ ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা গত বছর শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন এক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি বড় ধরনের রূপান্তর পার করেছি এবং এর পরিপ্রেক্ষিতেই আমার সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে।’
আরও পড়ুন: মহেশখালী-মাতারবাড়ী উন্নয়ন জোরদারে জাইকার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
এই রূপান্তরকে অতীতের ভুল শুধরে নেওয়ার, নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার এবং আরও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন বলে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।
বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও শান্তিপ্রতিষ্ঠা মিশনে অংশগ্রহণ এবং মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে বুধবার (২৮ মে), প্রধান উপদেষ্টা টোকিওতে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের প্রেসিডেন্ট তারো আসোর সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের যেকোনো সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস তারো আসোকে জানিয়েছেন- নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই ছয় মাসের সময়সীমার মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই সময়সীমার পরে তিনি আর একদিনও ক্ষমতায় থাকবেন না। আয়োজনের সকল প্রস্তুতি শেষ করেই তিনি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করবেন।