তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি কোনো ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না, জাতীয় পার্টি কখনোই কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল না। দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হলে তা প্রতিহতের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।’
মঙ্গলবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘পল্লীবন্ধু (এরশাদ) ক্ষমতা হস্থান্তরের পর থেকে ৩০ বছর যে সরকারগুলো দেশ পরিচালনা করেছে তারা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। দেশের মানুষ দুর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে বিকল্প খুঁজছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপক্ষে জাতীয় পার্টি হচ্ছে জনসাধারণের একমাত্র বিকল্প শক্তি।’
অনুষ্ঠানে গাজীপুর জেলা গণফোরাম সভাপতি কাজী মো. রফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম টিটুর নেতৃত্বে দুই শতাধিক নেতা-কর্মী জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের হাতে ফুল দিয়ে দলটিতে যোগ দেন।
করোনাভাইরাস মহামারির এ সময়ে দুর্নীতির কারণে দেশের ডাক্তারি সার্টিফিকেট বিদেশে গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে দাবি করেন জিএম কাদের।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। হঠাৎ করে কেউ কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছে। কিন্তু কিছু দিন পর আবার দুর্নীতিবাজরা কোর্ট-টাই পড়ে ঘুরে বেড়ায়।’
জিএম কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অভিযানে বিচার বহির্ভূভাবে কয়েক শ মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে কিন্তু মাদকের প্রসার কি কমেছে? কেউ দাবি করতে পারছে না যে দেশে মাদকের বিস্তার রোধ হয়েছে।’
নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাজনীতির মূল কর্মকাণ্ডে রয়েছে নির্বাচন। কিন্তু দেশের মানুষ নির্বাচনের প্রতি অনীহা প্রকাশ করছে। নির্বাচনের প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা স্পষ্ট। এ কারণে, রাজনীতিতে স্থবিরতা বিরাজ করছে। তাই অনেকেই রাজনীতি থেকে ঝরে পড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পল্লীবন্ধুর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির শাসনামলে দুর্নীতি ও দুঃশাসন ছিল না। তাই দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির শাসনামলে ফিরে যেতে চায়। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। তাই জাতীয় পার্টি দেশের একমাত্র সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক শক্তি। আগামী দিনে জাতীয় পার্টির জন্য সুদিন অপেক্ষা করছে।’