সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার পালিত হয়েছে। যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পার্টি ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে দলের সকল কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
এরশাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সকালে কাকরাইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলটির নেতাকর্মী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শ্যামপুর-জুরাইন রেলগেটে জনসভা করবে জাতীয় পার্টি।
অনুষ্ঠান শেষে তিন হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে রংপুরে এরশাদের কবরে ফাতেহা পাঠ করেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
সেখানে দোয়া-মাহফিল-কাম আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীর বারিধারায় প্রেসিডেন্ট পার্কে এরশাদ ট্রাস্ট স্মরণ সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: জিয়া-এরশাদ-খালেদা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে চেয়েছিল: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
জেনারেল এরশাদ, যিনি তার নয় বছরের স্বৈর শাসনের পর ১৯৯০ সালের ১৪ জুলাই ক্ষমতাচ্যুত হন। ২০১৮ সালে ৮৯ বছর বয়সে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এরশাদ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক (সিএমএলএ) হিসাবে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৮৬ সালে 'জাতীয় পার্টি' গঠন করেন এবং একই বছর তৃতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে পাঁচ বছরের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, যা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ব্যাপক প্রতিবাদের সূত্রপাত করে।
বিরোধী দলগুলির একটি সম্মিলিত আন্দোলনের মধ্যে অবশেষে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন রওশন এরশাদ