রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বুধবার করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘ম্যাডামকে (খালেদা) বিকালে সিসিইউ থেকে কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল সিসিইউতে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে দেখতে যান। ‘তারা তখন সিদ্ধান্ত নেয় যে তাকে (খালেদা) কেবিনে রেখে পরবর্তী ফলোআপ চিকিৎসা দেয়া হবে।’
জাহিদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে যে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে সেখানে হাসপাতালের সিসিইউ এর সব সুযোগ-সুবিধা স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে আরও কিছুদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা তাকে কেবিনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবেন এবং তার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করবেন। ‘মেডিকেল বোর্ড তার অবস্থার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
এর আগে সোমবার জাহিদ বলেন, মেডিকেল বোর্ড অসুস্থ খালেদা জিয়াকে আরও কিছু দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, শনিবার করোনারি এনজিওগ্রাম পরীক্ষায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের ধমনীতে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ‘ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক
বাকি দুটি ব্লকের বিষয়ে জাহিদ বলেন, কিডনি ও লিভারের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থাকায় তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
এর আগে খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার বিকালে তার হার্টের মূল ধমনীতে একটি রিং (স্টেন্ট) বসানো হয়।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।