তিনি বলেন, ‘গণফোরাম গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নেমেছে। এটা শুধু আমাদের দলের লড়াই না, আপনাদের সবার লড়াই। এই লড়াইয়ে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।’
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘সরকার ভোট চুরি করে ক্ষমতায় গেছে, যে কারণে সরকারের ওপর জনগণের আস্থা নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে গণফোরাম বিপুলভাবে বিজয় লাভ করে ক্ষমতায় যাবে। ক্ষমতায় গেলে জনগণের আস্থার প্রতিদান দিবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই দেশ ভালো হোক। দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা ভালো থাকি। অথচ বর্তমানে মানুষের মধ্যে ভয়, দুশ্চিন্তা বিরাজ করছে। মানুষ ভয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে পারে না। অপরাধ, অনিয়ম দেখলেও আতঙ্কে কথা বলে না।’
‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনমুখী দল। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাই। এখন সাংগঠনিকভাবে দলকে গোছাচ্ছি। প্রত্যেক জেলায়ই গণফোরামের অবস্থান ভালো হবে,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘দেশে বৈষম্য বেড়ে গেছে। বিশেষ করে মানুষের বৈষম্য। অথচ সরকারে থেকে অনেক ভালো কিছু কাজ করার ছিল। কিন্তু এখন ক্ষমতায় থাকা সরকার জনগণের না। রাতের অন্ধকারে তারা ভোট চুরি করে এমপি হয়ে ক্ষমতায় গেছে। নির্বাচনে এদেশে ১০৪ শতাংশও ভোট পড়ে।’
সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানকে দল থেকে বরখান্তের পর প্রেসিডিয়াম মেম্বার করার বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি দলের তালিকাভুক্ত প্রার্থী ছিলেন না। তিনি পরে বাইরে থেকে এসে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। আর প্যাড চুরির অভিযোগও সত্য নয়।
রেজা কিরবিয়া বলেন, ‘আমার বাবা যে দলের রাজনীতি করেছেন। বাবার আদর্শের সেই দল এখন নেই। বাবার দলে নেই, তাই বলে আমার বাবার নিরপেক্ষ নীতি থেকে সরে আসিনি। বরং আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক পথ থেকে সরে গেছে।’
গণফোরাম সরকারের লবিষ্ট কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ড. কামাল ৮৩ বছর বয়সে এসে এমন করবেন, এটা কখনো আমার মনে হয় না।’
পিতার বিচারে আদালত মুখী না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল বিচার করতে পারেনি। আর আসল খুনিদের বাদ দিয়ে মিথ্যা তদন্তে আমার বাবা হত্যা মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। ওই চার্জশিট মেনে নিতে আমাদের হুমকিও দেয়া হয়েছে। যেদিন চার্জশিটে সত্য বেরিয়ে আসবে, মূল আসামিদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে আসবে, সেদিন মামলা লড়তে আদালতমুখী হবো।’
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট আনছার খান।