বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণে একের পর এক বিভিন্ন আইন ও নীতি প্রণয়ন করায় বাংলাদেশে সাংবাদিক ও গণমাধ্যম এখন আর স্বাধীন নয়।
তিনি বলেন,‘যদিও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা, কিন্তু এখন বাংলাদেশের সাংবাদিক ও সংবাদপত্র স্বাধীন নয়… সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) বার্ষিক কাউন্সিলে বক্তব্যে এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অসত্য ও অপকর্ম এবং দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
তিনি বলেন,‘একসময়ের আওয়ামী লীগ নেতা; যিনি ভালো মানের স্যান্ডেল কিনতে পারতেন না, তিনি এখন বহুতল ভবন ও নতুন গাড়ির মালিক। এটাই বাস্তবতা।’
ফখরুল বলেন, ‘আসলে আওয়ামী লীগ এদেশকে ধ্বংস করতে কিছুই বাকি রাখেনি। তারা এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে। তারা মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তারা ১৯৭১ সাল থেকে এটা করে আসছে। তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের মৃত্যুতে বিএনপির শোক প্রকাশ
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা যাতে সত্য প্রকাশ করতে না পারে সে লক্ষ্যে সরকার এখন আরও নীতিমালা প্রণয়ন করছে। গণমাধ্যমের জন্য প্রতিটি আইন ও নীতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রণয়ন করা হচ্ছে।
ফখরুল দুঃখ প্রকাশ করে আরও বলেন, অধিকাংশ মিডিয়ার মালিক আওয়ামী লীগের সদস্য, যা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও বাধা।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিকল্প নেই।
এই বিএনপি নেতা বলেন, আমাদের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সাংবাদিক নেতাদের নিজেদের ও পেশাজীবীদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। বর্তমান স্বৈরাচারী শাসনকে হটিয়ে জনগণের হারানো অধিকার পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আমরা জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা