বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রোডম্যাপ তৈরিতে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনাকে নতুন ‘ড্রামা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে নতুন নাটক মঞ্চস্থ করছে।’
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল আয়োজিত সমাবেশে ফখরুল বলেন, ইসির সংলাপের প্রথম দিনে ৩০ জনের মধ্যে মাত্র ১২ জন আমন্ত্রিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যোগ দিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, আপনারা (ইসি) প্রহসন করছেন কেন? নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে নির্বাচন কখনোই অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। এটা আমার নয়, একজন শিক্ষকের মন্তব্য।’
যাদের বিচক্ষণতা ও দেশের প্রতি ভালোবাসা আছে, তারা ভালো করেই বোঝে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন জনগণের সরকার খুবই প্রয়োজন। এ ধরনের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ প্রশাসন প্রয়োজন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। আওয়ামী লীগের অধীনে এটা সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনগণের সঙ্গে ‘তামাশা’ করছেন মন্ত্রীরা: বিএনপি
এই বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান শাসনকে উচ্ছেদ করে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বস্তরের জনগণ ও গণতান্ত্রিক দলগুলোকে নিয়ে তুমুল আন্দোলন করতে হবে।
ফখরুল বলেন, চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায়, দেশ এখন নীরব দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন।
তিনি বলেন, ‘প্রায় সব ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, কিন্তু মানুষের আয় বাড়েনি।’
মাথাপিছু আয় বেড়েছে বলে মন্তব্য করে মন্ত্রীরা মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘একজন যখন মাসে এক হাজার কোটি টাকা আয় করে, আরেকজন তখন ১৫ হাজার টাকা আয় করে। তাহলে দুটো কি সমান হতে পারে? মাসিক এক হাজার কোটি টাকা আয়ের সঙ্গে সাধারণ মানুষের গড় আয় মিলিয়ে, সরকার জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের দুর্দশা দেখতে এসি রুম ছেড়ে রাস্তায় নামার জন্য মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির পেছনে আ’লীগ জড়িত: ফখরুল