গাজীপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি আলম আহমেদের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমির করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিমির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। আলমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী। ইসির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
এদিকে, যশোর-৪ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক বাবুলের প্রার্থিতা বহাল রেখে দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের আবেদনে সাড়া দেননি আপিল বিভাগ। শুনানির জন্য নির্ধারিত দিনে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ার বিএনপির নিখোঁজ দুই নেতার অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ফলে, এনামুল হক বাবুলের প্রার্থিতা বহাল রয়েছে। আদালতে তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ছিলেন শাহ মঞ্জুরুল হক।
রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই-বাছাইকালে ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের উপদেষ্টা ও তাজউদ্দীন আহমদের ভাগনে আলম আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে তিনি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন।
১৩ ডিসেম্বর আপিল শুনানিতে আলম আহমেদের প্রার্থিতা বৈধ করার আবেদন নামঞ্জুর করে ইসি। এরপর তিনি প্রার্থীতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তার রিট খারিজ করে দেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন তিনি। ১৯ ডিসেম্বর চেম্বার আদালত আলম আহমেদকে নিৰ্বাচনে অংশ নিতে সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন ওই আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।
এদিকে, এনামুল হক বাবুলের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ এনে আপিল করেছিলেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুকৃতি কুমার মণ্ডল।
এ ছাড়া এনামুল হক বাবুলের মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিরুদ্ধে ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রনজিত কুমার রায় আপিল করেছিলেন।
শুনানি শেষে ১৩ ডিসেম্বর প্রার্থিতা বাতিল করে ইসি। পরে এনামুল হক বাবুল হাইকোর্টে রিট করেন। ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তার রিট সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন। এরপর তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
১৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত তার প্রার্থিতা ফেরত দেন। পরে নির্বাচন কমিশন ওই আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেন। যে আবেদনের ওপর আজ শুনানি হয়।