নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর মিরপুর থেকে গাবতলী অভিমুখে মিছিল শুরু করেছেন বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে গাবতলী এসএ খালেক পরিবহন ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এটি বিএনপির তৃতীয় কর্মসূচি। এর আগে দলের ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট শনিবার বাড্ডা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট সোমবার যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন পর্যন্ত পদযাত্রা করে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪ দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা বিএনপির
পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত ভাষণে মোশাররফ বলেন, বিএনপি যখনই কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করে তখনই ‘দখলকারী’ সরকার সহিংসতার কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। ‘কিন্তু বিএনপি বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে শান্তিপূর্ণভাবে ১০টি সমাবেশ করেছে। এছাড়াও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আরও অনেক কর্মসূচি পালন করেছি। বাস্তবতা হলো বিএনপি যখনই কোনো কর্মসূচি নিয়ে আসে তখনই সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয় পায়।
তিনি বলেন, সরকার ব্যাপক লুণ্ঠন ও বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, দেশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করতে জনগণ রাজপথে নেমেছে। ‘এই সরকার যত তাড়াতাড়ি ক্ষমতা ছাড়বে, দেশের ততই মঙ্গল।’
বিএনপি সহিংসতা ও বিশৃংখলা করে না তা প্রমাণ করতে তিনি আগের সব কর্মসূচির মতো শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ খুবই কঠিন সময় পার করছে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ইউটিলিটি সার্ভিসের দামও বাড়াচ্ছে। ‘দেশ ও এর জনগণকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্রকে হত্যা করছে বা যারা গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করেছে তাদের সমর্থন করছে, অথচ বিএনপি বারবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে। ‘জনগণের সঙ্গে মিলে আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের আবারও এটি (গণতন্ত্র) পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
ব্যানার, জাতীয় ও দলীয় পতাকা, ফেস্টুন ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে চারদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিটের মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রার মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন পর্যন্ত বিএনপির ২য় পদযাত্রা শুরু