নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে মঙ্গলবার তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
দলটি অবিলম্বে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৯ জুন ঢাকা মহানগরসহ সকল মহানগর এবং ১১ জুন জেলা সদরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।
এছাড়া ১৩ জুন উপজেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করবে।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং মূল্য হ্রাসের দাবিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের সব অঙ্গসংগঠনগুলোও এই কর্মসূচি পালন করবে।
ফখরুল বলেন, নতুন গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম এখন আরও বাড়বে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রান্নার চুলার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, সার কারখানা ও শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা গ্যাস কৃষি ও শিল্প উৎপাদনের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পণ্যের দাম আরও বাড়বে। জনগণের পক্ষে এই খরচ বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করে আগের দামে ফিরে আসার দাবি জানানো হয়েছে।’
এর আগে রবিবার দেশে খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে এবং নতুন দাম ১ জুন থেকে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু ফারুক এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে কমিশনের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ঘোষণা অনুযায়ী, গ্যাসের দাম গড়ে ঘনমিটার প্রতি ৯ দশমিক ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১ দশমিক ৯১ টাকা করা হয়েছে।
সিএনজি (কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) ব্যবহারকারী ছাড়া অন্য সব গ্রাহককে প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য বেশি মূল্য দিতে হবে।