আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মোট ভোটকেন্দ্র আছে ২ হাজার ২৩টি। এরমধ্যে ১ হাজার ৪৫৯টি ভোটকেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। অর্থাৎ ৭২ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।
পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, নগরীর ছয়টি আসনের ৬৬০টি ভোটকেন্দ্রে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলার ১০টি আসনের ১ হাজার ৩৬৩টি ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করবে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। এরমধ্যে সিএমপি এলাকায় ৪৪৬টি ভোটকেন্দ্র এবং জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০টি আসনে ১ হাজার ১৩টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার প্রতি ১০টি কেন্দ্রের জন্য সিএমপির একটি মোবাইল টহল টিম মোতায়েন থাকবে। নগরীর সব ভোট কেন্দ্রের জন্য থাকবে ৪২টি স্ট্রাইকিং ফোর্স। ৬ ও ৭ জানুয়ারি অতিরিক্ত ১৫টি মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। নগরীর ছয় আসনে ৩৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া সাত প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে অবস্থান করবে। উপজেলার আওতাধীন আসনগুলোতে ব্যাটালিয়ন আনসারের ১৩টি টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে গুলি করে হত্যা
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘নগরীর ছয়টি আসনে ৪৪৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে তিনজন পুলিশ সদস্য এবং ১৫ জন আনসার সদস্য থাকবে। পাশাপাশি মোবাইল টিম, থানা এবং কন্ট্রোল রুমে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। সোয়াত, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট ও ডগ স্কোয়াডের কে-নাইন ইউনিটকেও স্ট্রাইকিং হিসেবে রাখা হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। এর একটি তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত, একটি নির্বাচনের দিন এবং অপরটি নির্বাচন পরবর্তী সময়ের জন্য।’
জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ জানান, জেলা এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে দুজন অস্ত্রধারী পুলিশ, ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্রগুলোতে তিনজন অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে ১০ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য, এক অথবা দুজন গ্রাম পুলিশ সদস্য। এছাড়াও সেনা ও বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: এবার নতুন ভোটার হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ: ইসি