যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় প্রায় ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ছাত্রলীগ ও পুলিশের দাবি, যুবদলের কর্মীরা ছাত্রলীগের গণসংযোগে হামলা করেছে।
চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানার বলিহাট ফার্নিচার মার্কেট এলাকায় বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপি মেয়র প্রার্থীর গাড়িতে হামলা
শাহাদাত হোসেনের মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব ইদ্রিস আলী বলেন, ‘নগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার নেতৃত্বে যুবদলের উদ্যোগে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ শেষে পথসসভা করা হয়। সভার শেষ পর্যায়ে হঠাৎ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হন।’
আহত কয়েকজন হলেন যুবদল নেতা মো. নুরুদ্দিন, মো. ইউনুছ, মো. নয়ন, মো. ইব্রাহিম, মো. রাশেদ, মো. ফরিদ, এসএম রুবেল, মো. আমীর ও মো. আজাদ।
নগর যুবদলের সাংগঠনিক এমদাদুল বলেন, ‘পথসভা চলাকালে হঠাৎ পেছন থেকে লাঠিসোটা নিয়ে এলাকার আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ হারুনের ভাতিজা ইমরান ও ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক মানিকের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এ সময় অন্তত ৪-৫ রাউন্ড গুলি চালায়। হামলায় আমাদের ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন। সন্ত্রাসীরা এলাকার যুবদল নেতা মো. ইউনুছের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা ইউনুছকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।’
আরও পড়ুন: পৌর নির্বাচন: ফেনীর দাগনভূঞায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত ৩
চট্টগ্রামে নির্বাচনী সহিংসতা: হত্যা মামলায় কাউন্সিল প্রার্থীসহ ১১ জন রিমান্ডে
তবে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ‘বলিরহাট এলাকায় নৌকার সমর্থনে গণসংযোগকালে যুবদলের নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে শুনেছি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। হামলা ৪-৫ আহত হয়েছেন।’
বলিরহাট ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মানিক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের প্রচারণা চালানোর সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে দুজনকে আহত করেছেন। পরে আমরা পাল্টা প্রতিরোধ করলে তারা পালিয়ে যান।’