বুধবার দুপুরে পৌরসভার সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, ‘গরিবের জন্য বরাদ্দকৃত চাল পৌর মেয়র ও তার পক্ষের লোকজন লুটপাট করছেন। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় সাংসদের দুই প্রতিনিধি পৌরসভায় গেলে তাদের মারধর করে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে সাংসদ সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।’
অপরদিকে, একই স্থানে পৌর পরিষদের আয়োজনে পাল্টা মানববন্ধনে অংশ নিয়ে মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী অভিযোগ তুলে বলেন, ‘গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষদের জন্য পৌরসভার বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চালের অর্ধেক দাবি করেন স্থানীয় সাংসদের দুই প্রতিনিধি। চাল দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সাংসদের নেতৃত্বে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের লাঞ্চিত করা হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে।’
এমন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে এ সময় গোটা শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শহরের একাধিক স্থানে সাংসদ ও পৌর মেয়রের সমর্থকরা অবস্থান নিলে শহরে পুলিশ মোতয়েন করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, ‘পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।’
উল্লেখ, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পৌরসভা চত্বরে দুস্থ, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে চাল বিতরণ করছিলেন পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কিন্তু চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ এনে স্থানীয় সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পৌরসভায় পৌঁছান। এ সময় তাদের সাথে পৌর কর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।