রাজনৈতিক আলোচনার দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না থাকায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলটি যোগ দেবে কি না, তা দু-একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় পার্টি।
রবিবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু দলের সভাপতির বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আলোচনার জন্য তিনটি প্রধান দলকে চিঠি দিলেও এখন পর্যন্ত সংলাপের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
চুন্নু বলেন, বিএনপি সংলাপের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি, তবে ক্ষমতাসীন দল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ অবস্থায় জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না তা নিয়ে এখন প্রশ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।
চুন্নু বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র নেতারা প্রয়োজনে আমাদের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের একটি সভা আহ্বান করবেন এবং আমরা দু-এক দিনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব যে আমরা নির্বাচনে যাব কি না।’
তিনি বলেন, তাদের দল এখনও একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক আলোচনা চায়।
আরও পড়ুন: ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে সিইসি আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ এক বিবৃতিতে একে স্বাগত জানিয়েছেন।
রওশনের অনুগত কয়েকজন নেতা নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে সাম্প্রতিক বৈঠকে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের অনুগত বেশিরভাগ তৃণমূল নেতা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জনগণ আগামী নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বিগ্ন: জিএম কাদের
আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ