চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন ও সমমনা দলগুলো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে ৪ মার্চ (আগামী শনিবার) তাদের বিভাগীয় শহরের আওতাধীন সকল থানায় মিছিল করবে।
শনিবার(২৫ ফেব্রুয়ারি) দেশের সব জেলায় তাদের পদযাত্রা শুরুর পরপরই প্রধান বিরোধী দল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে - যা একই ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ।
এ কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, প্রতিবাদ করা হবে এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কোনো শর্ত ছাড়াই মুক্তি দিতে , মূলত তার বিরুদ্ধে করা 'মিথ্যা' মামলা প্রত্যাহার করতে সরকারকে চাপ দেয়া এবং দলের ১০ দফা দাবি অবিলম্বে মেনে নেয়ার জন্য এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারকে না সরালে বিপদে পড়বে বাংলাদেশের জনগণ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে সরকারকে তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিতে এবং পদত্যাগে বাধ্য করতে দলীয় নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দলের আন্দোলনকে সফল করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলা পর্যায়ের কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের সিনিয়র নেতারা অংশ নেন।
৯টি জেলায় সংঘর্ষ ও অবরোধের মধ্যে ১০ দফা দাবি আদায়ে বিএনপি শনিবার দেশের সব জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে।
ঝালকাঠি, নীলফামারী ও নেত্রকোনায় তাদের পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে গেলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া পটুয়াখালীতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কুমিল্লায় মিছিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি চালায় বলে তারা জানান।
পুলিশের বাধায় বাগেরহাট ও রাজবাড়ীতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বিএনপি এবং গাজীপুর ও মাগুরায় পুলিশের বাধায় দলীয় নেতাকর্মীরা কর্মসূচি স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
এছাড়া মিছিল শুরুর আগে নাটোরে দলের কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণে দলটির পদযাত্রা কর্মসূচি বানচাল করা হয়।
মির্জা ফখরুল তার বিবৃতিতে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, চলমান আন্দোলনকে ভয় পেয়ে সরকার বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ মিছিল কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বিভিন্ন জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডারদের’ হামলায় বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটগুলো সরকার পতনের জন্য একযোগে আন্দোলন শুরু করে, অথবা অন্তত আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্ব-গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় বিধান উপলব্ধি করে।
এছাড়া গত ২৮ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।
দলটি তাদের ১০ দফা দাবি জানাতে সারাদেশের সব ইউনিয়ন ও বিভাগীয় শহরে একই ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করেছে।