ঢাকার নয়াপল্টনে সংঘর্ষ ও পুলিশের অভিযানের পর বুধবার রাত থেকে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিজয়নগর ও ফকিরাপুল সংযোগ লাইটিঙ্গেল মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কোনো যানবাহন দেখা যায়নি।
এলাকায় সাঁজোয়া ও পুলিশের গাড়িসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
বুধবারের সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে পুলিশের অভিযানে নিহত ২, শতাধিক আহত, গ্রেপ্তার ৬০০: ফখরুল
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, তবে সকালে ঢাকার আদালতে হাজির হয়ে নয়াপল্টন কার্যালয় পরিদর্শন করার কথা রয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের।
আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই এলাকার অধিকাংশ অফিস, শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, বিপুল সংখ্যক পুলিশ ওই এলাকায় অবস্থান নেয়ায় তারা আতঙ্কিত। তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে যেতেও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলেও জানান তারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার দাবি করেন যে তাদের দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের হামলায় ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই নেতা নিহত ও শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এছাড়া দলের কার্যালয় থেকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও উত্তর মহানগর শাখার আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ বিএনপির প্রায় ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিএনপির লোকজন তাদের দলীয় কার্যালয় থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং তার জন্যই অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। তারা (বিএনপি) সমাবেশ করার পূর্বানুমতি নেয়নি।’
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচালে নয়াপল্টনে সংঘর্ষ করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল