তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচন বর্জন করে অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে দেখতে বিএনপির ১৫ বছর কেটেছে, আর কত বছর কাটবে জানি না।’
রবিবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে লায়ন মুহা. মীযানুর রহমান রচিত ‘সময় এখন বাংলাদেশের’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নেতারা আত্মগোপনে থেকে কর্মীদের দিয়ে গাড়ি পোড়ানোই বিএনপির অবরোধ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়া বা না যাওয়া সেটি যেকোনো রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে। নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারে কিংবা নাও করতে পারে, কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার এখতিয়ার কারো নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিহত করার কথা বলা মানে, দেশবিরোধী-গণতন্ত্রবিরোধী কথাবার্তা। সুতরাং দেশবিরোধী-গণতন্ত্রবিরোধী বক্তব্য যারা রাখবে কিংবা অপচেষ্টা চালাবে তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকারের, জনগণের ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখা। সেজন্য যা কিছু করা প্রয়োজন সেটি করা হবে। আর তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট, তারা গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায়, দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন বর্জন করে অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে দেখতে বিএনপির ১৫ বছর কেটেছে, আগামী কত বছর কাটবে জানি না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক। তাদের এত জনপ্রিয়তা যেটি তারা বলেন, সেটি যাচাই করুক। তাদের এত উদ্যমী কর্মী যারা ২০ মিনিটে সমাবেশের ময়দান থেকে চলে গেছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি এখন গর্তে ঢুকে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির নির্বাচনে আসার জন্য অপেক্ষা করা হবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তারা একটা শিডিউল দেবে, সেই শিডিউল অনুযায়ী নির্বাচন হবে, সে সময়ের মধ্যে তারা নির্বাচনে এলে তাদের নিয়েই নির্বাচন হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো একটি দল না আসলেও আরও দল আছে তারা তো অংশগ্রহণ করবে, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে এবং একটি অবাধ সুষ্ঠু আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে। তারা তো সিটি কর্পোরেশনগুলোতেও আগে আসেনি। কিন্তু সেখানে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল এবং সেই নির্বাচনগুলো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।’
এর আগে গ্রন্থকারকে নিয়ে মোড়ক উন্মোচনকালে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ‘সময় এখন বাংলাদেশের’ গ্রন্থটি রচনার জন্য লেখককে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, দেশের অগ্রযাত্রা নিয়ে ১০টি নিবন্ধের এটি একটি ব্যতিক্রমী সংকলন।
এ সময় ড. হাছান বলেন, প্রকৃতপক্ষে সময় এখন বাংলাদেশের কারণ বাংলাদেশ আজকে ১৫ বছরের পথচলায় পৃথিবীর ৬০তম অর্থনীতির দেশ থেকে জিডিপিতে ৩৫তম অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। পিপিপিতে আমরা ৩১তম অর্থনীতির দেশ।
এই অভিযাত্রায় আমরা অর্থনীতির আকারে পাকিস্তানকে তো বটেই আমরা সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াকেও অতিক্রম করেছি। আমরা অর্থনৈতিক, সামাজিক, স্বাস্থ্য ও মানব উন্নয়নসহ সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে বহু আগে অতিক্রম করেছি।
বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন প্রায় ৩ হাজার ডলারের কাছাকাছি, যেটি ভারতের মাথাপিছু আয়ের চেয়ের বেশি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রেল হার মানিয়েছে স্বপ্নকেও: তথ্যমন্ত্রী